মাধবপুরে গ্রাহকের টাকা নিয়ে এনজিও বন্ধু সোসাইটির মালিক উধাও

এফএনএস (মোঃ আলাউদ্দিন রনি; মাধবপুর, হবিগঞ্জ) :
| আপডেট: ৪ মে, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম | প্রকাশ: ৪ মে, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
মাধবপুরে গ্রাহকের টাকা নিয়ে এনজিও বন্ধু সোসাইটির মালিক উধাও

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া বন্ধু সঞ্চয় ঋনদান সমবায় সমিতি নামে একটি এনজিও গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে ভ’ক্তভোগি গ্রাহক শাহমোঃ মুরাদ খাঁন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা চা বাগান মসজিদ এলাকার মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে মোঃ আবু সাহেদ ৭ বছর আগে তেলিয়াপাড়ায় নিশান সোসাইটিতে চাকরি নিয়ে বাগানের লোকজনের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করত। পরে আমানত সংগ্রহের বিদ্যা রপ্ত করে নিজেই আওয়ামীলীগের নেতাদের সহযোগিতায় মাধবপুর সমবায় অফিস থেকে বন্ধু ঋনদান সমবায় সমিতির লাইসেন্স নিয়ে ব্যাংকের কায়দায় প্রতি লাখে মাসে ২ থেকে ৩ হাজার মুনাফার অফার দেয়। এই অফার চা বাগানের শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ বন্ধু সোসাইটিতে টাকা আমানত রাখে। প্রথমে আমানতকারিদের মুনাফার টাকা সময় মত দিয়ে সবার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। এই খবরে এলাকার বিভিন্ন পেশার লোকজন কোটি কোটি টাকা জমা রাখে। টাকা জমা নিয়ে কৌশলে সুদাসল ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দেয় বন্ধু সোসাইটি। নিশান সোসাইটি পালিয়ে যাওয়ার পর পরই বন্ধু সোসাইটির চেয়ারম্যান আবু সায়েদ অফিস বন্ধ রেখে কৌশলে পালিয়ে গেছে। এখন টাকা ফেরত আমানতকারিরা অফিসে ধরনা দিচ্ছে প্রতিদিন।

উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের শাহ মোঃ মোরাদ খাঁন বন্ধু সোসাইটির লোভের প্রলোভনে পড়ে  ৩৮ লাখ টাকা জমা করে এখন পথে বসেছেন। বারবার টাকা চেয়ে টাকা ফেরত পাচ্ছেনা। টাকা ফেরত পেতে মাধবপুর উপজেলা নিঁর্বাহী অফিসারের সহযোগীতা চেয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন বন্ধু সোসাইটি লোভ লাভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩’শ টাকার জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে লিখিত দিয়ে ৩৮ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু ৬ মাস ধরে টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানা তালবাহানা শুরু করে। এখন তারা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। আমার মতো শত মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা পকেটস্থ করেছে তারা। 

বন্ধু সোসাইটির চেয়ারম্যান আবু সায়েদের সাথে এ ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোন সাড়া মেলেনি।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন তালুকদার রাহী জানান,তিনি যোগদানের পর বন্ধু সোসাইটি পরিদর্শন করতে তেলিয়াপাড়া কার্যালয়ে গেলে তাদের কার্যালয় বন্ধ পাওয়া যায়। বন্ধু সোসাইটির নানা অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন বন্ধু সোসাইটির অনিয়ম ও আমানতের টাকা আত্বসাতের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ বিন কাসেম জানান,বন্ধু সোসাইটির অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। সমবায় অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে