নকল কীটনাশক বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এফএনএস (এম এম মফিজুর রহমান; মোল্লাহাট, বাগেরহাট) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৩৪ এএম
নকল কীটনাশক বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এক্সপার্ট এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিঃ এর বিরুদ্ধে নকল কীটনাশক বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রতিকার দাবিতে বাগেরহাট জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের কৃষক চান মিয়া মোল্লার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগে জানা যায়, চিতলমারী উপজেলার দলুয়াগুণী বাজারে 'কৃষি বীজ ভান্ডার' নামে শেখ ফারুক হোসেনের একটি দোকান রয়েছে। ওই দোকান থেকে কিছুদিন পূর্বে দুইটি বালাইনাশক কেনেন তিনি। যা ব্যবহার করে তার পানবরজ ও বিভিন্ন প্রকার সবজি ক্ষেতের সকল ফসল মারা যায়। এতে তার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপর ওই কীটনাশক নিয়ে মোল্লাহাট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে যান এবং সেখানকার পরিক্ষায় ওই কীটনাশক নকল প্রমাণিত হয়। এঘটনায় তিনি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান। বাগেরহাট জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে পরিচালিত ওই অভিযানে এক্সপার্ট এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিঃ এর নকল কীটনাশক বিক্রির কারণে চিতলমারী উপজেলার দলুয়াগুণী বাজারের কৃষি বীজ ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই অভিযানে একই এলাকার আরো ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান তিনি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ সালমান জামান জানান, ওই কীটনাশকের মোড়কে উল্লেখিত রেজিঃ নং কৃষি ওয়েবসাইটে সার্চ দিয়ে দেখা যায়, অন্য কোম্পানির রেজিঃ নং ব্যবহার করা হয়েছে। নকল কীটনাশক তৈরি ও বাজারজাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে কৃষি বিভাগের অপূরণীয় ক্ষতি হয় বলেও জানান তিনি। নকল কীটনাশক বিক্রেতা কৃষি বীজ ভান্ডারের পরিচালক মোঃ ইয়াছিন বলেন, ওই কোম্পানির মালিক জনৈক হেলাল সাহেব, ঠিকানা পাবনা। তাদের কীটনাশক বিক্রির কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেয়া হয়েছে। তবে ওই টাকা তাদের কোম্পানির মালিক হেলাল সাহেব দিতে চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে