বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এন.আই.এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ভাণ্ডারিয়া পৌরশহরের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষককের পরিবারের দাবি তাকে হয়রাণিমূলক আসামী করা হয়েছে। ঘটনার দিন ৪ আগস্ট প্রধান শিক্ষক ভাণ্ডারিয়ায় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এ মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যনপত্র রয়েছে। জানাগেছে, গত ৪ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টায় ঢাকায় মিরপুর মডেল থানার অদুরে সড়কে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র জনতার মিছিলে অংশ নেয়া আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী কওে ১৯৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনাম ২০০ জনকে আসামী করা হয়। আদালত মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি এজাহারভূক্ত করার নির্দেশ দেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটি মিরপুর মডেল থানায় এজাহারভূক্ত হয়। ওই মামলায় ভাণ্ডারিয়ার ওই প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুককে ৪০ নম্বর আসামী করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ফাতিমা খানম বলেন, আমার শিক্ষক স্বামী ওমর ফারুক একজন নিরিহ মানুষ। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ভাণ্ডারিয়ায় ছিলেন। তিনি ঢাকায় যাননি। এছাড়া তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগ এর তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন মাসুম এর সঙ্গে বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে এডভোকেট মাছুম বিদ্যায়লয়ে সভাপতি না হতে পেরে তিনি ষড়যন্ত্র করে আমার শিক্ষক স্বামী ওমর ফারুককে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এ মামলায় আসামী করেছে। শুধু তাই নয় আমার স্বামীকে হয়রাণির জন্য আরও দুইটি মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমি সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচারের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলাম এর মৃত্যুর ঘটনায় মিরপুর থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় শিক্ষক ওমর ফারুককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।