আশাশুনির হাড়ীভাঙ্গা হাই স্কুলের সাইকেল শেডের ছাউনি ঝড়ে বিধ্বস্থ

এফএনএস (জি.এম. মুজিবুর রহমান; আশাশুনি, সাতক্ষীরা) : | প্রকাশ: ৫ মে, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
আশাশুনির হাড়ীভাঙ্গা হাই স্কুলের সাইকেল শেডের ছাউনি ঝড়ে বিধ্বস্থ

আশাশুনি উপজেলার হাড়ীভাঙ্গা নাটানা সবদলপুর কুমারখালী থালনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাইকেল সেডের ছাউনি ঝড়ে উড়ে গেছে। ১ মে প্রচন্ড বেগের ঘুর্ণি ঝড়ে সাইকেল সেড ভবনের ছাউনি উড়ে বিধ্বস্থ হয়। 

জনপদের সুখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত। স্কুলে ৩২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১২ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী নিয়ে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীদের কোলাহলে ভরে ওঠে। পার্শবর্তী গ্রামের কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আসার জন্য বাইসাইকেল সর্বোত্তম মাধ্যম হওয়ায় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী বাইসাইকেল যোগে স্কুলে যাতয়াত করে থাকে। কমপক্ষে দুই শতাধিক সাইকেল স্কুলে ভীড় করে থাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সার্বিক দিক বিবেচনা করে একটি বৃহৎ আকারের টিনসেড সাইকেল গ্যারেজ নির্মান করেন। এই ভবনের একটি অংশে ওল্ড টেনের ক্লাশও করা হয়েছে। গত ১লা মে আকস্মিক প্রবল বেগের ঘুর্ণিঝড়ে পিলারের মাথা ভেঙ্গেনিয়ে ছাউনি কাঠামোসহ টিন উড়ে পাশে গিয়ে পড়ে। ফলে সাইকেল শেড লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে করে আনুমানিক ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা ও মুক্তি সরকার জানায়, ঝড়ে ভবন ছাউনি উড়ে যাওয়ার পর থেকে আমরা সাইকেল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। প্রচন্ড রৌদ্রে সাইকেলের টায়ার পাঞ্চার হয়ে যাচ্ছে। রোদে সাইকেল পুড়ে নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি এলে ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে। যে যেখানে পারছে ইচ্ছেমত সাইকেল ছড়িয়ে রাখায় নিরাপদ হচ্ছেনা। অনেক সময় সাইকেল ঠেলে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। আমরা কমিটি, প্রশাসন ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সাইকেল গ্যারেজ সংস্কারের দাবী জানাচ্ছি। 

প্রধান শিক্ষক সুকুমার মন্ডল জানান, ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহৃত বাইসাইকেল নিরাপদ স্থানে রাখার সুযোগ করে দিতে সাইকেল সেড নির্মান করা হয়। ১ মে ঘুর্ণিঝড়ে ভবনটি লন্ডভন্ড হয়ে পৌণে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সাইকেল নিয়ে বিপাকে রয়েছে। এক্ষুনি সংস্কারের কাজ করা প্রয়োজন হলেও প্রতিষ্ঠানের সংস্থান না থাকায় করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। 

প্রতিষ্ঠানের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ঘুর্ণিঝড়ে সাইকেল শেড উড়ে গিয়ে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংস্কার কাজে কমপক্ষে দেড় লক্ষাধিক টাকার খরচ হতে পারে। আমরা বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়েছি। ইউএনও মহোদয়ের কাছে সংস্কার কাজের জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে। শিক্ষানুরাগী, সহৃদয় ব্যক্তিবর্গ, এনজিও কর্তৃপক্ষ ও সরকারি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সদয় সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে