পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ মৃত্যু

এফএনএস (আমিনুল হক সাদি; কিশোরগঞ্জ) : | প্রকাশ: ৬ মে, ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ মে) দুপুরে উপজেলার চরটেকী এলাকায় ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বজ্রপাতের ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি এবং মিঠামইনার থানার এসআই অর্পন বিশ্বাস কৃষক কডু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ব্জ্রপাতে নিহতরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা আক্তার (১৫), একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া আক্তার (১৫) ও একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা (১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অপরদিকে কৃষক কডু মিয়া (৩৫) মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরটেকী নামাপাড়ায় ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে তিন স্কুল শিক্ষার্থী। এসময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন ওই তিনজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে বর্ষাকে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বাড়ির সামনে কডু মিয়া একটি খোলা মাঠে ধান শুকাতে দেন। হঠাৎ করে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন পরে শুকাতে দেওয়া ধান জমাতে যান এ সময় বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন কডু মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিঠামইনার থানার এসআই অর্পন বিশ্বাস কৃষক কডু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হয় এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতার দেওয়া হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে