রাজশাহীর পুঠিয়ায় মডেল মসজিদের সামনে উপজেলা পরিষদের অবৈধ মার্কেট থাকায় মসজিদের দৃষ্টিনন্দন এবং সৌন্দর্য ঢাঁকা পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-রাজশাহী সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ করা রয়েছে। অপরদিকে উপজেলা পরিষদের জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে মসজিদ নির্মাণ করার পর অদ্যবধি উপজেলা মার্কেটের অবৈধঘরগুলি ভংাঙা হয়নি। এরপর মসজিদের সামনে ফুটপাত দখল করে অনেকে আবার ব্যবসা করছে। যারফলে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে যানবহন চলাচল করতে গেলে মসজিদের সামনে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় মসজিদের সামনে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকার কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। অথচ মসজিদটির দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্য বর্তমানে ঢাঁকা পড়ে আছে। গত ২৭ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহদয় সরকারি এক কার্যক্রমে পুঠিয়ায় এসে রাজপ্রাসাদের সামনে জনসম্মখে উপজেলা প্রশাসনকে মডেল মসজিদের সামনে থাকা অবৈধ সবকিছু উচ্ছেদ করতে আদের্শ দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা অবহেলা গাফিলতি করে উচ্ছেদ করা হয়নি। সানোয়ার হোসেন সানু বলেন, আমার উপজেলা পরিষদের মার্কেটে একটি ঘর বরাদ্দ ছিল। মসজিদের সামনে মুসল্লিদের যাতায়তে অসুবিধার স্বার্থে ঘরটি আমিসহ দুইজনের ঘর উপজেলা পরিষদ তখন ভেঙে দেয়। কিন্তু অন্য ঘরগুলি এখনো পর্যন্ত ভংাঙা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, সচিব মহদয়ের আদের্শ অমান্য করে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা মার্কেটের ঘর বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে অনৈতিক সমঝোতা ও যোগসাজস করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এবং জেলা প্রশাসক মহদয়কে নয়ছয় বুঝিয়ে উপজেলার ঘরগুলি আর ভংঙাচুড়া আর করবে না। গোপনে প্রশাসনের সঙ্গে রফাদফা ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক বলেন, খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসক থেকে একটি নির্দেশনা আসার কথা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন মার্কেট উচ্ছেদে করলে তখন মডেল মসজিদ দৃষ্টিনন্দন এবং সৌন্দর্য ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম নূর হোসেন নির্ঝর যুগান্তরকে বলেন, আমি এক মাসের ভিতরে ঘর মালিকদের অন্যত্র চলে যেতে বলেছি। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ফোরলেন কাজ শুরু হলে,আমাদের উপজেলা পরিষদের জায়গায় সীমানা প্রচীর দেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় থাকা উপজেলা পরিষদের মার্কেট তখন ভংাঙা পড়বে। আমি জেলা প্রশাসক মহদয়কে ঘরসংক্রান্ত বিয়য়ে সবকিছু বলেছি।