নির্মান কাজ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা

কমলগঞ্জে মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্টের পাথর ভেঙ্গে খোয়া তৈরি

এফএনএস (এস.কে.দাস; কমলগঞ্জ, মৌলভী বাজার) : : | প্রকাশ: ৮ মে, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
কমলগঞ্জে মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্টের পাথর ভেঙ্গে খোয়া তৈরি

মেয়াদ উত্তীর্ণ বস্তা ভর্তি সিমেন্ট দীর্ঘদিন থাকার পর পাথরের সৃষ্টি হয়ে যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ সেই সব সিমেন্টের পাথর ভেঙ্গে তৈরি হচ্ছে নির্মাণ কাজের খোয়া। মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্টের তৈরী  খোোয়ায় নির্মাণ কাজ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের উসমানগড় এলাকায় এভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাথরের খোয়া উৎপাদনের পর রাস্তাঘাট ও ভবন নির্মাণে সেসব খোয়া অবাধে বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, খোয়া নির্মাণ কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা কংক্রিট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে প্রথম শ্রেণির পাথর কিংবা ভালো ইট ভেঙ্গে খোয়া তৈরি করা হয়। সেখানে খোয়া তৈরি হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্টের পাথর থেকে। বস্তা ভর্তি সিমেন্ট দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকার পর সেগুলো পাথরের সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর মাটির মধ্যে থাকার পর সেই পাথরগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের হয়ে পড়ে। 

সেসব সিমেন্টের পাথর সংগ্রহ করে একটি মহল উপজেলার উসমানগড় এলাকায় তৈরি করছে পাথরের কংক্রিট। মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি স্থানীয় ভাবে অনেকেই না জেনে ভবন কিংবা রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য কিনে নিচ্ছেন। আর তাতে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে পাথর উৎপাদনকারী ঐ মহল।

এ ব্যাপারে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাথর দিয়ে খোয়া তৈরির বিষয়ে  উসমানগড়ে কারখানার মানেজার সুমন মিয়া বলেন, শমশেরনগরে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ইউনিট থেকে ১৪ লাখ টাকায় এগুলো কিনে আনা হয়েছে। এখন খোয়া তৈরি করা হচ্ছে। যারা কাজে লাগাবেন তারা পাথরের খোয়া দেখে শুনেই কিনে নিচ্ছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাঈফুল আজম বলেন, এগুলো আমাদের রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যবহার হয় না। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ নিয়ে গেলে সেটি তাদের বিষয়।


কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে