কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন

মোঃ আল-আমিন দেওয়ান; কালীগঞ্জ, গাজীপুর : | প্রকাশ: ৮ মে, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন

গাজীপুরের কালীগঞ্জের মৃৎ শিল্পিরা আগে বিনা পয়সায় অন্যের জমি থেকে মাটি এনে বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ আয় করতো। এখন আর সেই দিন নেই। মাটি কিনে সাথে অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে তৈজসপত্র তৈরিতে খরচ আগের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। খরচের তুলনায় লাভও কম। তাছাড়া বর্তমান বাজারে চাহিদাও কমেছে। বাজারজাতের রয়েছে নানা প্রতিবদ্ধতা।

এমন অবস্থায় মৃৎ শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত হতে পূর্বের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের নাওয়ান গ্রামের মৃৎ শিল্পীদের সাথে মতবিনিময় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। পরে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে "দক্ষ যুব গড়বে দেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই শ্লোগানে নাওয়ান গ্রামের মন্দিরের পাশে স্থাণীয় নারী-পুরুষদের নিয়ে মৃৎ শিল্প বিষয়ক ৭ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধণ করা হয়।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ। সভায় অন্যান্যের মাঝে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ইশরাত জাহান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর-ই-জান্নাত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান আকন্দ ফারুক, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফরোজা বেগম, উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম শাকিল উপস্থিত ছিলেন। তনিমা আফ্রাদ বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য মৃৎ শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে।

কালীগঞ্জের সাংবাদিকদের প্রচেষ্ঠায় উপজেলা প্রশাসন এর পৃষ্ঠপোষকতায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মৃৎ শিল্পকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে সাত দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি গ্রামের মানুষ মৃৎশিল্পের উপর ভরসা করে জীবন জিবিকা চলছে। তাদের পূর্ব পুরুষদের পুরনো ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে মৃৎশিল্পকে আবারও লোক সমাজে প্রচার করা, মৃৎশিল্পের চাহিদা অনুযায়ী মাটির জিনিসপত্র আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাজারজাত করতে হবে।

আমি উপজেলা পরিষদ থেকে দুটি মাটি মিক্সড করার জন্য মেশিন দিব। আপনারা আবার নতুন উদ্যামে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন মাটির জিনিস পত্র বানাতে পারবেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সল্পসুদে ঋণ প্রদান সহ এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে