টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ৩নং গারিন্দা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমির ওরফে আমির বাহিনী অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ১১ টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।উল্লেখ্য গত (৪মে) রবিবার পূর্ব শত্রুতা জের ধরে রাত আটটায় দেশীয় অস্ত্রসহ মোঃ খনি ইয়ামিন (২৫), কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ি যায়। গিয়ে তাকে বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে বাড়ি ঘরের উপর হামলা চালায় তারা। এ সময় তাদের হাতে থাকা রামদা চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে বাড়িঘর লন্ড ভন্ড করে চলে আসে। খনি ইয়াসমিন অত্র ইউনিয়নের হাতিলা গ্রামের বুরু মিয়ার ছেলে। পরে আত্ম রক্ষার্থে টাঙ্গাইল সদর থানায় হাজির হইয়া গত ৫ই মে একটি সাধারণ ডায়েরি করি। ডায়েরি করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে আমির বাহিনীর প্রধান আজমত আলীর ছেলে ১নং আসামি মোঃ আমির (৪৫), রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজমুল (২৫), মঞ্জু মিয়ার ছেলে ৩নং মোঃ সিফাত (২১),ও আজমতের আরেক ছেলে রাজ্জাক (৪০), মৃত আবুল মিয়ার ছেলে ৬নং আসামি মোঃ সজিব (৩০), এরা সবাই অত্র ইউনিয়নের হাতিলা গ্রামের বাসিন্দা। আমাকে খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে আমাকে খুঁজে না পেয়ে তারটিয়া অটো স্ট্যান্ড আসে। এসে আমার চাচাতো ভাই ইজিবাইক চালক করিম (৩৫) কে তারটিয়া অটোস্ট্যান্ড খুঁজে পায়। এরপর চাপাতি দা দ্বারা আমার চাচাতো ভাইয়ের ডান হাতে কোপ মারিয়া হাতের হাড়সহ কেটে ফেলে আর বলে যায় আজকে তোকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবো। আমার চাচাতো ভাই ক্ষত অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য বেপরোয়া ভাবে ইজিবাইক যোগে টাঙ্গাইল সদর থানাধীন ভাতকুড়া বাজার চলিয়া আসে। আসার সময় বিবাদীরা পেছন হইতে বলিয়া দেয়, আজকের মতো বাচিয়া গেলি, পরবর্তীতে তোকে সহ তোর ভাই ইয়ামিন ও পরিবারের কাউকে সুযোগমতো পাইলে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবো। লোকজনের উপস্থিতি টেরপেয়ে ওরা চলে যায়। পরবর্তীতে ভাতকুড়া বাজারে উপস্থিত আশেপাশের লোকজন আমার চাচাতো ভাইকে মুমুর্ষত অবস্থায় ধরাধরি করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।