দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এ সব রোগীদের বেশিরভাগ রোগী দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে। এখানে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হচ্ছে। কারো অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এ বছরের শুরু থেকে অদ্যবধী ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫১ জন। এদের মধ্যে মহিলা ১৪ জন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ৪৫ জন। এদের মধ্যে মহিলা রোগী ৯ জন। স্থানন্তরিত রোগী ৫ জন। যাদের মধ্যে মহিলা রোগী ১ জন। বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা যায়, দিঘলিয়ায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ ও ড্রেনে ঢাকনা না থাকায় মশার প্রজনন শহর থেকে গ্রামে বেড়ে গেছে। অপর দিকে শহরে সিটি করপোরেশন এলাকায় বা পৌরসভা এলাকায় মশা নিধনে অভিযান পরিচালনা করা হলেও উপজেলার ইউনিয়ন এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় না। যে কারণে গ্রামের দিকে মশার উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে। দিন দিন মশার উপদ্রব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের মশা নিধনে অভিযান পরিচালনা করার তাগিদ ও বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ মশা নিধনে কোনরূপ কর্মসূচি পালন করা হয় না এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রাতের বেলা পড়ে থাক রাতের বেলাও মশারি ছাড়া ঘরে বসা দায় হয়ে পড়ছে লোকজনের। তবে ডেঙ্গু রোগের বিস্তারের প্রথম দিকে দিঘলিয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও শিতের আগমণে ডেঙ্গু রোগী কম আসছে কমপ্লেক্সে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এ ব্যাপারে আশু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার বিজ্ঞমহল। তারা এ ব্যাপারে সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।