চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই খাল থেকে গত ৩ মে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার হওয়ার পর সেটি নির্মাণ শ্রমিক আব্দুর রহিমের বলে শনাক্ত করেন তার বাবা উবায়দুল্লাহ। কিন্তু দাফনের ছয়দিন পর সেই ভোলার রহিম জীবিত ফিরে এলেন। এই ঘটনায় চট্টগ্রাম শহরে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। রহিম জানালেন, পাওনাদারের ভয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ভোলা জেলায় নিয়ে দাফন করা লাশটি তাহলে কার?
ওই ঘটনার মোড় ঘুরে যায় বৃহস্পতিবার। সেদিন রহিমের মোবাইল নম্বর সচল পেয়ে পিবিআই কর্মকর্তারা খোঁজ নিয়ে তাকে জীবিত উদ্ধার করেন। মূলত পাওনাদারদের ভয়ে মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এদিকে উবায়দুল্লাহ জানান, তার ছেলে চট্টগ্রামে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। ১ মে সকালে এক ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। তিনি ধারণা করেছিলেন, অনলাইন জুয়াড়িদের হাতে খুন হয়েছেন তার ছেলে। পুলিশও লাশটি তার কাছে হস্তান্তর করে।
পিবিআই কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। সাংবাদিকদের জানান, রহিমের মোবাইল চালু হলে তারা যোগাযোগ করেন এবং জীবিত রহিমকে খুঁজে পান। পরে বাবা-ছেলেকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রহিম পাওনা টাকা দিতে না পেরে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। ’তিনি আরও বলেন, ‘লাশ শনাক্তের সময় বিকৃত হওয়ায় উবায়দুল্লাহ ভুল করে সেটিকে নিজের ছেলের লাশ ভেবেছিলেন। তদন্তে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যের প্রমাণ মেলেনি। এর আগে রহিমের ফুফাতো ভাই মো. নোমান গত সপ্তাহে জানান, ‘লাশ শনাক্তের সময় ঘাড় ও পেটের পুরনো কাটা দাগ দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছিলেন। তার ভাষায়, ২০১৪ সালে নির্মাণস্থলে পড়ে গিয়ে রহিমের পেটে রড ঢ়ুকে যায় এবং অস্ত্রোপচারের ফলে ওই দাগগুলো পড়ে।’ পিবিআই আরো জানায়, ‘যাকে দাফন করা হয়েছে, সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে দাবিদার এলে তা মিলিয়ে দেখা হবে।’