মাধবপুরের তেলিয়াপাড়ার নিশান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি’র নিবার্হী পরিচালক মঈনউদ্দিন বেলালসহ ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৩৩০ কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ জুটিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল জলিল সায়েম (২৮) ডেপুটি ডিরেক্টর সাঈফ আফ্রিদী সালমান (২৫) মাইক্রো ফিন্যান্স ডিরেক্টর মোঃ মাসুদ রানা (৩৫) ডেপুটি ডিরেক্টর আমেনা বেগম (৫২) ম্যানেজার হেড অফিস গোবিন্দ কৈরী (৫২) আর এম জামাল মিয়া (৪৫) এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আব্দুল মালেক (৫৫) এরিয়া ম্যানেজার মোঃ হারুন অর রশিদ হারুন (৪৮) এরিয়া ম্যানেজার মোঃ মাইনুল ইসলাম (৩০) বাহুবলের সহব্যবস্থাপক এম এ মান্নান (৩৫) মোঃ মিজানুর রহমান (৪০) ডেপুটি ডিরেক্টর উম্মে জাহান মুন্নী রিপা (২৫) এরিয়া ম্যানেজার জুয়েল গোয়ালা (৩০) সিনিয়র একাউন্টস অফিসার রুমানা আক্তার রুমি (৩৬) খেলা রানী গৌড়ি (৪৫) ইনচার্জ একাউন্টস অফিসার শিল্পী আক্তার(৩৫) সহ শাখা ব্যবস্থাপক সানী কানু (২৬) শাখা ব্যবস্থঅপক সুমন কুমার সিংহ (৪৫) সহ শাখা ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম (৩২) ওমাঃ ওয়াসিম (৫০) ফিল্ড অফিসার হানিফ ভৌমিক(৩৭) সহ শাখা ব্যবস্থাপক সুব্রত দেব (২৬) ফিল্ড অফিসার গৌতম গোয়ালা (২৫) সাবেক শাখা ম্যানেজার সঞ্জয় সুত্রধর (৩২) সহ শাখা ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম আলম (৩২) ক্যাশিয়ার শিমুল কৈরী (৩০) মিতালী সরকার (২৪) রুমি রানী দেব (২৬) তৌফিক মিয়া (৪০) সিনিয়র ফিল্ড অফিসার সুব্রত কর্মকতার শেখর (৫৫) ফিল্ড অফিসার সমির দাস (২৩) ফিল্ড অফিসার সুবীন মহালী (৩৫) ফিল্ড অফিসার সুহেল মিয়া (৩৫) ফিল্ড অফিসার কামরুল হাসান (৩০)কে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন উল্লেখিত ব্যক্তিরা গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে সংস্থায় জমা না দিয়ে নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্নসাৎ করেছেন। গত কয়েক দিন আগে দৈনিক আমার দেশে গ্রাহকের প্রায় ২’শ কোটি টাকা নিয়ে নিশানের কর্মকর্তারা উদাও শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের লোকজন নড়েছড়ে বসে। এ ব্যাপারে নিশান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি’র নিবার্হী পরিচালক মঈনউদ্দিন বেলাল বলেন গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছু দিনের মধ্যেই ভাল খবর দিতে পারব।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ ইসমাঈল তালুকদার রাহী বলেন- আমি সদ্য যোগদান করে নিশানে কয়েকবার গিয়ে দেখতে পেয়েছি গ্রাহরার আমানত ফেরৎ না পেলে তারা ধবংস হয়ে যাবে। তাই গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দেয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ জাহেদ বিন কাশেম জানান গ্রাহকের টাকা ফেরৎ পেয়ে প্রশাসন সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।