ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মোটরবাইক ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবক নাহিদ আহমেদের (২১)। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের ইসলামাবাদ এলাকায় মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিয়ের বছরদিন পরই ভালবাসার মানুষটির আকস্মিক মৃত্যুতে সঙ্ঘাহীন এখন স্ত্রী নাদিয়া। দুনিয়াতে আসার মাত্র ১৮ দিন পরই চিরদিনের জন্য এতিম হয়ে গেল শিশু (ছেলে) নাহিয়ান। নাহিদ সরাইল সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মো: ফুল মিয়ার ছোট ছেলে। নাহিদের অনাকাংখিত আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে পরিবার ও গোটা গ্রামে চলছে শোকের মাতম। বন্ধু বান্ধব সহ সকলের চোখেই পানি। কাউকে কেউ শান্তনা দিতে পারছেন না। পারিবারিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সৈয়দটুলা গ্রামের ফুল মিয়ার ৪ ছেলে ৪ মেয়ের মধ্যে নাহিদ সবার ছোট। গত এক বছর আগে একই গ্রামের আব্দুল বারিকের মেয়ে নাদিরা বেগমকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল নাহিদ। গত ১৮ দিন আগে নাহিদ ছেলে সন্তানের পিতা হন। সন্তান পেয়ে খুবই আনন্দে ছিলেন নাহিদ। পরিবারের সকলের আদরের নাহিদ সম্প্রতি প্রবাসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে নাহিদ শাহবাজপুর থেকে মহাসড়ক দিয়ে দুই বন্ধুসহ মোটরবাইক চালিয়ে সরাইলের উদ্যেশ্যে রওনা দেন। ইসলামাবাদ এলাকায় আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে নাহিদের মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে নাহিদের মোটরবাইকটি। গুরূতর আহত নাহিদকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুই জনের মধ্যে উত্তর কুট্রাপাড়া গ্রামের সফর আলীর ছেলে জুনায়েদ মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আর সৈয়দটুলা গ্রামের খাঁ বাড়ির ইদন মিয়ার ছেলে আলাল মিয়ার চিকিৎসা চলছে। কুট্রাপাড়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ বলেন, দূর্ঘটনায় সরাইলের এক যুবক নিহতের খবর বিষয়ে বৃহস্পবিার রাত থেকে অনেকেই ফোন দিচ্ছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। তারপরও রাতে আমার ফোর্স একাধিক জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে কোন সন্ধান পাননি। নিহতের পরিবার ও স্বজনরা আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। আমরা তো গত দুই দিন ধরে সড়কের যানজট নিয়ে খুবই ব্যস্ত আছি।