জেলার হিজলা উপজেলার বহুল আলোচিত শাওরা সৈয়দখালীর মেঘনা নদীর বালু মহলে কোষ্ট গার্ডের একটি বিশেষ দল টানা নয় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অভিযান পরিচালনা করছে। রবিবার (১১ মে) দুপুরে কোষ্ট গার্ডের মিডিয়া উইং-এর স্টাফদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কিছু বলতে রাজি হননি। পরবর্তীতে মিডিয়া সেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছেন। এরপূর্বে শনিবার (১০ মে) বিকেল তিনটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত অভিযান চলমান ছিলো। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিপুল সংখ্যক অবৈধ ড্রেজার ও বাল্কহেড থাকার কারণে তাদের কাগজপত্র, ফিটনেস যাচাই এবং অন্যান্য আইনী প্রক্রিয়াতে সময় বেশি লেগেছে। তার দাবি, এটি হতে পারে দেশের অন্যতম বড় বালুমহল বিরোধী অভিযান। যেখানে একইসাথে এতো সংখ্যক অবৈধ ড্রেজার ও বাল্কহেড চিহ্নিত হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক জেলেরা জানিয়েছেন, কোষ্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক ড্রেজার ও বাল্কহেড দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিলো, শাওরা সৈয়দখালীর মেঘনা নদীর বালুমহল থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দিনরাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৯ মে হিজলা উপজেলার খুন্না বাজারে হিজলা নদী ও ভূমি রক্ষা কমিটির আয়োজনে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে বালু মহল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ওইসময় বক্তারা বলেছিলেন, এই বালু মহল যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে নদী ভাঙনে অচিরেই বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হিজলা উপজেলাটি হারিয়ে যাবে। মানববন্ধন শেষে হিজলা নদী ও ভূমি রক্ষা কমিটির আহবায়ক ভাষা সৈনিক আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে নৌ-পরিবহন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপরই কোষ্ট গার্ডের এ বিশেষ অভিযান।