নোয়াখালী থেকে পালিয়ে আসা ৪০ রোহিঙ্গা আটক

এবার নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পালিয়ে আসা ৪০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সোমবার  দুপুরে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সাগর উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।  দালালরা প্রতি জন রোহিঙ্গা থেকে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন। ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে তারা সীতাকুণ্ড উপকূলে এলে দালালরা কৌশলে পালিয়ে যায়। 

আটকৃতরা হলেন- নূর কালিমা, আব্দুল্লাহ, জাহিদ হোসেন, রোকেয়া, শফিউল আলম, কাদের, মোহাম্মদ রফিক, রিদোয়ান, ওসমান, আইয়ুব, আনিসুর রহমান, আব্দুল্লা আল মামুন, শারমিন আক্তার, নূর বেগম, সবিতা, সবিতা, শানু, মোহাম্মদ সাদেক, মোমিনা, ফাতেমা, নূর বেগম, সাথিয়া বেগম, রশিদা বেগম ও জহিরসহ আরো ১৬ জন। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ জন নারী, ১৩ জন পুরুষ ও ১৬ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন গর্ভবতী নারীও রয়েছে।

 এলাকাবাসী জানান, সোমবার দুপুরে ভাটিয়ারী সাগর উপকূলে শিশুসহ রোহিঙ্গাদের চারটি ইঞ্জিনচালিত বোট থেকে নামতে দেখেন তারা। এ সময় তারা তাদের আটক করলে তারা নোয়াখালীর ভাসান চর থেকে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেতে পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে তাদের বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করার পাশাপাশি আটক শিশুসহ ওই রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে সাগর উপকূলে বসিয়ে রাখা হয়েছে। মোহাম্মদ রফিক, ওসমান, আইয়ুব ও রিদোয়ান নামের একাধিক রোহিঙ্গা জানান, সরকার নোয়াখালীর ভাসান চরে তাদের তাদের বসতি স্থাপন করে দিলেও সেখানে তারা খাবারের অভাবে খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে দালালের মাধ্যমে জনপ্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসেন। 

দালালরা রোববার গভীর রাতে ভাসান চর থেকে চারটি ইঞ্জিনচালিত বোটে করে রওনা দেন। সোমবার দুপুরে তারা ভাটিয়ারী সাগর উপকূলে এসে পৌঁছানোর পর সাগর উপকূলে স্থানীয় এলাকাবাসীদের দেখতে পেয়ে কৌশলে দালাল পালিয়ে যায়। পরে তারা স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন। তাদেরকে কোন খাবারও দেওয়া হয়নি। ভালোভাবে দিন যাপনের তাগিদে তারা পরিবার নিয়ে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরতে চান বলেও জানান। ওদিকে  রোহিঙ্গা আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর। তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী রোহিঙ্গা আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আটক রোহিঙ্গাদের পুনরায় নোয়াখালীর ভাসান চরে ফেরত পাঠানো হবে।