'নিবন্ধিত জেলের তালিকায় নেই কোন নারী জেলে'

চাঁদপুরে নারী জেলেদের অধিকার নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা সভা

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) : : | প্রকাশ: ১৩ মে, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
চাঁদপুরে নারী জেলেদের অধিকার নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা সভা

সেন্টার ফর ন্যাশনাল রিচার্জ স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর আয়োজনে চাঁদপুরে নারী জেলেদের অধিকার নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় (১৩ মে ২০২৫)  চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি'র বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সুচিত্র রঞ্জন দাস।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকতের সভাপতিত্বে এবং সিএনআরএস প্রজেক্ট অফিসার মালিহা মেহরিন বুশরার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, মৎস্যজীবী সমিতির নেতা তসলিম বেপারী, সমাজকর্মী মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী, সাংবাদিক ও লেখক আশিক বিন রহিম, নারী জেলে কামরুন্নেসা প্রমুখ।

সভার শুরুতেই নারী জেলেদের অধিকার নিয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য চিত্র  তুলে ধরেন সিএনআরএস প্রোগ্রাম অফিসার মোখলেছুর রহমান চৌধুরী সুমন।

সভায় বক্তারা বলেন, মৎস্য খ্যাতে পুরুষ জেলেদের পাশাপাশি নারী জেলেরাও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। অথচ নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় নারীদের নাম খুবই কম। চাঁদপুরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। কিন্তু কোন নারী জেলে এ তালিকায় নেই। অথচ চাঁদপুরের প্রায় দুই থেকে আড়াই'শ নারী জেলে এই পেশার সাথে সক্রিয় ভাবে সম্পৃক্ত এবং প্রকাশ্যে নদ নদীতে মাছ ধরছে।  তাদের বেশিরভাগ নৌকাবাসী বেদে সম্প্রদায়ের।

বক্তারা বলেন, জাটকা এবং মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় নদীতে সকল প্রকার মাছ আহরণ নিষেধ থাকে। তখন পুরুষ জেলেরা সরকারি সহায়তা পেলেও নারী জেলেরা বঞ্চিত থাকেন। এই বৈষম্য দূর হওয়া দরকার। আমরা আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই নারী জেলেদের অধিকার নিশ্চিতকরণে তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন,  সরকার নারী জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে। চাঁদপুরে যে সকল নারী জেলে রয়েছে তাদের বেশির ভাগ নৌকাবাসী বা বেদে সম্প্রদায়ের। তাদের জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় আনতে বড় সমস্যা হলো জাতীয় পরিচয়পত্র। এটি অনেকের ছিল না। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্র দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রাষ্ট্রীয় অধিকার।

তিনি আরো বলেন, আমরা নারী জেলেদের নিবন্ধিত করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা এককভাবে অথবা দলগতভাবে এসে আমাদের কাছে তালিকাসহ জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবি জমা দিবেন। আপনারা না এলেও আমরা আপনাদের কাছে যাব।‌ এখন সবকিছু নির্ভর করছে আপনাদের আগ্রহের উপর। জাতীয় পরিচয়পত্রের আওতায় এলে আপনারাও প্রশিক্ষণ সহ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন।

আলোচনা সভায়, মৎস্যজীবী সমিতি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, সোস্যাল এক্টিভিস্ট, ইয়ুথ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ সিএনআরএস প্রকল্প কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে