জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কর্মসূচিতে তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে রওয়ানা দিলে সেখানে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বেলা সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী যমুনা অভিমুখে রওনা হন। তাদের সঙ্গে শিক্ষকরাও ছিলেন। তাদের পদযাত্রা প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেটে বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস্য ভবনে আবারও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেই বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা। পদযাত্রা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে আসতেই অতর্কিত লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যমুনা অভিমুখে লং মার্চে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হলে তাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিন দফা দাবি হলো:-
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।