মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক মানসিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে চোর সন্দেহে বিদ্যুতের খুটির সাথে বেঁধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত যুবক কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৩ মে)রাতে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ছকসালং গ্রামে। নির্যাতিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবকের নাম আলমগীর মিয়া (২৫)। সে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে।
নির্যাতিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আলমগীরের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ১২ মে আলমগীর স্থানীয় নয়া বাজার থেকে ভূল পথে হাড়িয়ে যায়। রাতে তাকে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ছয় নাম্বার ওয়ার্ডে চোর সন্দেহ আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ এর উপস্থিতিতে কয়েকজন মিলে বিদ্যুতের খুটির সাথে বেঁধে তাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে সিএনজি অটোরিকশা করে তার বাড়ির পাশে রেখে যাওয়া হয়।
আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, আমার ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। গতকাল ভোরে আহত অবস্থায় সে বাড়িতে এসেছে। সে কোথায় গিয়েছিল কিছু বলতে পারছেনা সঠিকভাবে শুধু বলছে কারা জানি তাকে চোর ভেবে খুব মারধর করেছে। সে অনেকবার অনুরোধ করছে তাকে না মারার জন্য কিন্তু কেউ তার কথা শুনেনি। এমন ভাবে মেরেছে শরীর থেকে রক্ত পড়ছিলো। পরবর্তীতে আমরা জেনেছি কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ সহ এলাকার কয়েকজন লোক মিলে খুব বেশি মারধর করেছে। সে তার বাড়ি ঠিকানা যতটুকু পারছে বলেছে, বাবা ও চাচার নাম বলেছে তার পরেও সবাই থাকে মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে। এ ঘটনায় আমরা কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রতিবন্ধী আলমগীরকে পিটানোর বিষয়ে টিলাগাঁও ইউনিয়নে ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ বলেন, আমি আসার আগে লোকজন চোর সন্দেহ হয়তো পিটিয়েছে। আমর এলাকায় কিছু দিন আগে ২ টা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য এলাকাবাসী চোর সন্দেহ করেছে। এছাড়া এই এলকায় একসাথে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো। পরে প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে বাড়িতে পাঠিয়েছি।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কনক কান্তি সিনহা বলেন, প্রতিবন্ধী আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।