দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠে মাঠে চলছে রোরো মৌসুমকে সামনে রেখে বোরো ধানের বীজ তলা তৈরিতে করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ উপজেলার কৃষকরা। কাহারোল উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমের আমন ধান কাটা মাড়া প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু এবার সময়মতো বৃষ্টিপাত না হলেও আমন ধান চাষাবাদের তেমন কোনোরুপ ক্ষতি হয়নি। কাহারোল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধানের বীজ তোলার লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ২৭৮ হেক্টর জমি। নতুন করে কৃষকেরা বোরো চাষের জন্য আগে ভাগেই বোরো ধানের বীজ তোলা তৈরিতে ব্যস্ত। বোরো ধানের বীজের দিন দিন চাহিদা বাড়ার আশংকা করায় কৃষকরা আমন কাটার পর থেকেই বীজতলা তৈরি করছেন। অনেক কৃষক জানান, বীজ ব্যবসায়ীরা বোরো মৌসুমে বোরো বীজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অধিক মুনাফা লাভের আশায়। উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক মোঃ হবিবুর রহমান ও একই গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন,গত বছরের চেয়ে এবছর কিছুটা বোরো ধানের বীজ জাত ভেদে মূল্যে বেশি। বর্তমানে অত্র উপজেলার হাট বাজার গুলোতে জাতভেদে ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ব্রিধান-২৯,প্রতিকেজি ৮৫ টাকা, ব্রিধান-২৬ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রিধান-৮৯ প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, ব্রিধান-২৯ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রিধান-৮৮ প্রতি কেজি ৯৫ টাকা,ব্রিধান-৫৮ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রি-আর-২৬, প্রতি কেজি ৭৫ টাকা কেজি ধরে কাহারোল বাজার থেকে ক্রয় করছি। বর্তমান বাজারে সেই বীজের ধান ১০ কেজি হারে প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্র পুর গ্রামের কৃষক মোঃ শাহজাহান আলী ,সরঞ্জা গ্রামের মোঃ হজরত আলী এবং কাজী কাটনা গ্রামের কৃষক মোঃ মাহতাব আলী জানান, এখন আমন ধান কাটার পর ধান মাড়ায়ে ব্যস্ত কৃষকরা। সব মিলে বর্তমানে কৃষকেরা বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন অত্র উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যা সম্পর্কে কৃষকদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নের ব্লগ গুলিতে সংশ্লিষ্ঠ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।