ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার চাষিরা এবার পাট চাষ করে বেশ লাভবান হবেন এমন টা আশা করছেন।কালীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাট বাজারে পাট বিক্রি করে উচ্ছ্বসিত তারা। কালীগঞ্জের উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিসের কর্মকর্তা জানান, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের ৯৯০ একর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে। গত বছর ও পাট চাষ হয়েছিল ৯৯০ একর জমিতে এবং ৫ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একই ভাবে এ উপজেলায় পাট চাষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে সারা বাংলাদেশের মধ্যে কালীগঞ্জে পাটের বীজ বেশি উৎপাদন হয়। তিন জাতের মধ্যে তোষা ও গুটি পাট বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। এ পাটের ফলন ও বীজ বেশি হয় এ কারনে এলাকার কৃষকরা বেশি করে এ দুই জাতের পাট রোপন করে থাকে। এলাকার কৃষকরা বলছেন সরকারি প্রনোদনা খুবই কম। সরকারি ভাবে আরও গুরুত্ব দেয়া হলে আগামীতে সোনালী আঁশে কৃষক সুফল পাবে। প্রনোদনার সার দেওয়া হয় বিঘা প্রতি মাত্র ১২ কেজি, এমন নজির রয়েছে অনেকে বীজ সার নিয়ে গোপনে বিক্রি করে থাকে।
কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলি গ্রামের উমর ফারুক নামের এক কৃষক ২ একর ৫ শতক জমিতে পাট রোপন করেছে। গত ৫ বছর যাবত তিনি ঝিনাইদহ জেলার শ্রেষ্ট পাট চাষি হিসাবে সরকারি ভাবে পুরস্কার ও পেয়েছেন। তিনি গত বছর ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার পাট বীজ বিক্রয় করেন ও ৯০ হাজার টাকার পাট কাঠি বিক্রি করেন। এ ভাবে ৫ বছর ধোরে পাট বীজ ও পাটকাঠি বিক্রয় করে আসছেন উমর ফারুক। সেখান থেকে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা আয় করেছেন। এদিতে কৃষকরা সরকারি ভাবে সার,বীজ, কীটনাশক ফ্রি দেওয়া হয়ে থাকে। আবার সরকারি ভাবে মানসস্মত পাট ও বেশি বেশি উৎপাদন করনের জন্য মাঠ দিবস,ট্রেনিং ব্যবস্থা করা হয়।গত ১২ মে কালীগঞ্জ উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিসের আয়োজনে পাট চাষ বৃদ্ধির লক্ষে এলাকার কৃষকদের নিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়্। সমাবেশে পাট ৭৫ জন কৃষকের পাট চাষের প্রশিক্ষন দেওয়াহয়।
কালীগঞ্জ উপজেলার পাট উন্নয় কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন,পাট চাষ করে চাষিরা যেমন ভালো লাভবান হচ্ছেন, তেমনি আগামী মৌসুমেও ফসল চাষে উৎসাহ পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি নির্ধারিত মুল্যে প্রতি মন পাটের বীজ ৮ হাজার ৮০০ টাকা মুল্যে ক্রয় করে থাকেন। প্রতি বছর কালীগঞ্জ পাট উন্নয়ন অফিস লক্ষ মাত্রা মোতাবেক ৫ টন করে বীজ ক্রয় করে থাকেন। ফলে সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে পাট বীজ ক্রয় করে কালীগঞ্জ উপজেলা ৫ বছর যাবত শ্রেষ্ট স্থান স্থান পেয়েছেন।