চিলমারীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে

এফএনএস (মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম সিদ্দিক; চিলমারী, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৮ মে, ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
চিলমারীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে

কুড়িগ্রামের চিলমারীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে বিপাকে মৃৎশিল্প তৈরী কারিগররা। মৃৎশিল্পের একসময় বেশ কদর ছিলো। গৃহসয্যা, ব্যবহারিক প্রয়োজন এমনকি অলংকার হিসাবেও মাটির তৈরী গহনার চাহিদা ছিলো। এ উপজেলা পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও রপ্তানি হতো। দৃষ্টি নন্দন চিলমারী মৃৎশিল্প সামগ্রী উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প পেয়েছে নতুন মাত্রা। ব্যবহারিক উপযোগিতা ও নান্দনিক আবেদনে মৃৎশিল্প অনায়াসে নজর কাড়লেও উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও নানাবিধ কারণে চিলমারীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। দুই শতাধিক বছরের পুরোনো এই শিল্পের সাথে জড়িতদের অনেকে অভাবের কারনে পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। যারা জড়িত আছে তাদের সাথে কথা হলে তাদের মাঝে হাহাকার ও হতাশার চিত্র ফুটে ওঠে। চিলমারীর নিজস্ব সংস্কৃতি সংগ্রহ করা ডিজাইনে তাদের উৎপাদিত মৃৎশিল্প সামগ্রি নিজেরাই বাজারজাত করছে। মৃৎশিল্প তৈরীর পর তা বিশেষ এক ধরনের চুল্লিতে পোড়ানো হয়। উপজেলা জোড়গাছ কুমারপাড়ার খিতিস চন্দ্রের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মৃৎশিল্প সামগ্রী তৈরী করে কিছুটা দারিদ্রতা কেটেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছি। মৃৎশিল্প উৎপাদনকারীর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই মহিলা। মহিলারা বাড়ীতে বসে এ কাজ করেন। বর্ষা মৌসুম ছাড়া সারা বছরই এ শিল্পের উৎপাদন হয়ে থাকে তবে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে  নির্দিষ্ট স্থানে মালামাল পৌঁছাতে খুবই সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্নিগদা রাণী জানান, এ পর্যন্ত কোন এনজিও, বেসরকারী ও সরকারী সাহায্য ও সহযোগিতা পাইনি। সাহায্যে ও সহযোগিতা পেলে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারবো।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে