সাড়ে ৪ কোটি টাকায় সাব-রেজিস্ট্রি ভবন আসছে না কোন কাজে

এফএনএস (টিপু সুলতান, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ১৮ মে, ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
সাড়ে ৪ কোটি টাকায় সাব-রেজিস্ট্রি ভবন আসছে না কোন কাজে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে আয়েশা তেল পাম্পের পাশে সাড়ে ৪ কোটি টাকার সাব-রেজিষ্টার ভবন তৈরির পর থেকে কোন কাজেই আসছে না। ভবনটি বর্তমানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠাটি ভবন তৈরি করে চোলে গেছে। কিন্তু এ সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভবন কোন কাজেই আসছে না। বিশেষ করে ৫৩৪ নং খতিয়ানের ৫৮৭ নং দাগে ২৪ শতাংশ জমিতে কালীগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নামে অধিগ্রহন করে ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডার আবহবান করে ঝিনাইদহ জেলা গণপূর্ত বিভাগ। ভবনটির কাজ ২০২৩ সালের ১৬ মে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স মিজানুর রহমান কাজটি শুরু করেন। বর্তমানে ভবণটির কাজ সম্পূর্ণরুপে শেষ হলেও নানা জটিলতার কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ।টান ভবনটি হস্তান্তর করতে পারছেন না। ফলে ভবণটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে জানালা-দরজা ও আসবাবপত্র। বিশেষ করে সন্ধা হলেই মাদক সেবন কআররা সেখানে মাদক সেবন করে। প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় ভবনটিতে এখনো শুরু হয়নি কোন কার্যক্রম। সেকারণে কোনো কাজেই আসছেনা ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি। অপরদিকে বর্তমানে উপজেলা পরিষদ এলাকায় পুরাতল জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ণ একতলা ভবনে দূর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। ওই ভবনটির পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে আফিসের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি। এমন পরিস্থিতিতে উক্ত অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দ্রুত নব নির্মিত ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার দাবি জানান।

সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা দীন মোহাম্মদ বলেন, এই ভবনটি অনেক পুরাতন। অফিস কক্ষ গুলোর জায়গা অনেক কম। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কাজ করা লাগে। শুনেছি নতুন ভবন হয়েছে, তাহলে কেন এখনও এতো ছোট জায়গায় গাদাগাদি করে আমাদের জমি রেজিষ্ট্রি করতে হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমান এর পক্ষে উজ্জল ঘোষ বলেন, নির্মান কাজ শেষ হয়েছে গত ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে, আমরা বুঝে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। হস্তান্তর করতে না পারার কারণে আমাদের অনেক টাকার বিল তুলতে পারছিনা। ঝিনাইদহ জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেন্ডার অলিভার গুডা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রি অফিসে ২ দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কালীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত সাব-রেজিস্টার না থাকায় ভবনটি হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে নতুন কর্মকর্তা যোগদান করেছেন, তিনি সম্মতি দিলেই দ্রুত হস্তান্তর করা হবে ভবনটি। 

কালীগঞ্জ উপজেলায় সদ্য যোগদানকৃত সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি বলেন, আমি অসুস্থজনিত কারনে ছুটিতে আছি। ছুটি থেকে ফিরে আমার বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের নিকট থেকে দ্রুত ভবনটি বুঝে নিয়ে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যবস্থা গ্রহন করব।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে