বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ‘মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে মামলা দায়ের’ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান এবং এক সচিবের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৮ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে হারুন অর রশিদ নামে একজন নাগরিক এ আবেদন দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৫ মে দিন নির্ধারণ করেছেন।
মামলার আবেদনে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন:
১. সাবেক দুদক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী
২. সাবেক কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান
৩. সাবেক কমিশনার আবুল হাসান মনজুর
৪. সাবেক সচিব মোখলেছ উর রহমান
বাদীপক্ষের আইনজীবী হোসেন আলী খান (হাসান) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলার আবেদন গ্রহণ করে আদালত তা আদেশের জন্য রাখেন। মামলার মূল অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ তৈরির জন্য অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে একাধিক গোপন বৈঠক ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
আবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে, সেগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এবং এই মামলাগুলোর মূলে ছিল সাজানো মিথ্যা অভিযোগ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “এই ধরনের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র এবং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়াগুলো বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।”
বাদী আরও অভিযোগ করেন, এসব ঘটনার পেছনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে কাজ করেছেন।
তবে, মামলার আবেদনকারী হারুন অর রশিদ নিজে মামলার বিচারাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য না করে বলেন, বিচার কার্যক্রমের আওতাধীন বিষয়গুলোর বৈধতা নির্ধারণ করা আদালতের এখতিয়ারে পড়ে। তবে এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে অপরাধমূলক পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্র ছিল, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।
আদালত আগামী ২৫ মে মামলার বিষয়ে আদেশ দেবেন। এই মামলার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম নিয়েছে, বিশেষ করে যেহেতু এতে সাবেক উচ্চপদস্থ দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা অভিযুক্ত হয়েছেন।