গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) বিশাল পরিসরে নতুন অত্যাধুনিক কারখানার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ মে রোববার সকাল এগারোটায় উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর গ্ৰামে লোটোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড লোটো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী জামিল ইসলাম অনাড়ম্বর ও জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আধুনিক কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিন, নারী ক্ষমতায়ন, পরিবেশ বান্ধব ও সাসটেইনেবল অবকাঠামো এবং শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যা দক্ষ জনবল গড়ে তুলবে। নতুন কারখানার মাধ্যমে অত্র এলাকায় সহস্রাধিক নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রফতানির পথ সুগম হবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ, গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মোঃ যাবের সাদেক, কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ বেলাল হোসেন সরকার, কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল, প্রাইম ব্যাংকের এমডি মোস্তফা ফয়সাল, এনসিসি ব্যাংকের এমডি শামসুল আরেফিন প্রমুখ । এছাড়া কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, স্থানীয় সিংহশ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মানসুর ভূঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন, কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আফজাল হোসাইন, ব্র্যাক ব্যাংক ও ইউনাইটেড ফাইনান্সের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশি বিদেশি ব্যবসায়িক অংশীদারবৃন্দ, কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন খাতের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) উন্মোচন করলো তাদের নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য “সুপার লাইট”। সূত্র জানায়, লোটোর পন্য হালকা, আরামদায়ক এবং পানিরোধী এই পণ্যটি আকর্ষণীয় মূল্যে পাওয়া যাবে লোটোর সব আউটলেটে। আধুনিক ডিভেন্টিলেশন হোল সম্বৃদ্ধ ডিজাইনের অত্যাধুনিক এই পণ্য আধুনিক লাইফস্টাইল, পারিবারিক উপলক্ষ্য, ক্যাজুয়াল ওয়্যার, আনন্দঘন পরিবেশ, সামার বিচ এবং আউটিং–এ বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করবে। কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী জামিল ইসলাম জানান, এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড যাত্রা শুরু করে ২০০৭ সালে এবং শুরু থেকেই প্রিমিয়াম মানের পাদুকা পণ্য উৎপাদনে মনোনিবেশ করে। ৩৫ জন কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, ক্রমবর্ধমান মান নিয়ন্ত্রণ ও গ্রাহকসেবা নীতির কারণে দ্রুতই দেশীয় বাজারে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাস অর্জন করে। ২০১০ সালের দিকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উৎপাদন সম্প্রসারণের ফলে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করে যার ফলশ্রুতিতে ২০১১ সালে এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ইতালির নাম্বার ওয়ান স্পোর্টস ব্র্যান্ড লোটোর লাইসেন্সি মর্যাদা পায় এবং লোটো বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রা, আবহাওয়া, আর আর্থিক চাহিদা—এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তাদের যা প্রয়োজন, এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) ঠিক সেই উপযোগী পণ্যের বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করে, যার ধারাবাহিকতায় এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) বাজারে নিত্যনতুন ফুটওয়্যার ও অ্যাপারেল টেকনোলজির সূত্রপাত করে সফলতা অর্জন করে। সফল প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে এএমএফ, বুস্ট, ইজি ফিট, ডিপ ড্রাই টেক এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। লোটোর এএমএফ সুপার কমফোর্ট টেকনোলজির আলট্রা ব্রিদেবল আর কমফোর্টেবল ফোমিং এ কর্মব্যস্ত সারাটা দিনেও দেয় অতুলনীয় আরামের নিশ্চয়তা। লোটোর বুস্ট টেকনোলজি সম্বৃদ্ধ সু–প্রতিদিনের হাঁটা আর দৌড়ের জন্য পারফেক্ট কম্প্যানিয়ন। লোটোর বুস্ট পায়ে এনার্জি রিফ্লেক্স করে, দৌড়ের গতি বাড়ায়, শক্তি বাঁচায়। লোটোর ইজি ফিট প্রযুক্তির মাধ্যমে হাতের স্পর্শ ছাড়াই সু পরিধান করা যায়। অর্থাৎ ঝুঁকে জুতা পরিধানের ঝামেলামুক্ত - যা বয়সকালীন শারীরিক দূর্ঘটনার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আর লোটোর ডিপ ড্রাই টেক পোলো-টি-শার্ট শরীরের ঘাম শুষে নেয় নিমেষেই। এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেডই (লোটো বাংলাদেশ) একমাত্র লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন পণ্যের প্রতিষ্ঠান যা বিভিন্ন প্রযুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এদেশে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) -এর প্রত্যেক সফলতার গল্পে এটাই অন্যতম মূলমন্ত্র। দেশজুড়ে ২২০ টিরও বেশি আউটলেটে বিপুল সমারোহে নতুন এই পণ্যসম্ভার নিয়ে এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (লোটো বাংলাদেশ) স্টাইলিশ ও ফ্যাশনপ্রেমী গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষা করছে। লোটোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী জামিল ইসলাম আরো জানান, কাপাসিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল কপালেশ্বর গ্রামে অবস্থিত লোটোর একমাত্র ফ্যাক্টরি। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করা হয়েছে। ৭০ হাজার বর্গফুট আয়তনের বিশাল এই কারখানায় আগামী এক বছরের মধ্যে পুরোদমে আন্তর্জাতিক মানের প্রডাক্ট তৈরি করা হবে। ফলে এলাকার হাজারো শ্রমিক নিজ এলাকার বাড়িতে বসবাস করে কাজ করার সুবিধা পাবে। তিনি আরো জানান, প্রথমত শ্রমিকদের আবাসন, নিরাপত্তা, তাদের পরিবারের সকল সদস্যের স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। কোম্পানির আয় শ্রমিক ও কর্মচারীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। এই ফ্যাক্টরিতে দুই হাজার শ্রমিকের রুটি রোজগারের পথ সুগম হবে। এলাকাবাসী সহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে এই ফ্যাক্টরির শ্রমিক কর্মচারীরাই মালিকে পরিনত হবে। #