শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘চা প্রদর্শনী ২০২৫’। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের গ্যালারি রুমে চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধীনস্থ ‘চাইনিজ কর্নার’, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে চাইনিজ কর্নারের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা-ভিত্তিক এই সহযোগিতা ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের চা শিল্পে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (অও) ব্যবহার চা চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বিপ্লব ঘটাতে পারে।”
চা প্রদর্শনীতে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপিং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি মাওলানা খাইরুল হোসেন এবং বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য তাহসীন আহমেদ চৌধুরী।
চীন ও বাংলাদেশের চা ঐতিহ্য, প্রক্রিয়াকরণ ও গবেষণার নানা দিক তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুই, চীনা শিক্ষক জং কিয়ানআন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লি ইয়াংসি, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ এবং সাংবাদিক সালাউদ্দিন বাবলু।
স্বাগত বক্তব্য দেন পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও চা শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। চীনা প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় চা কমিউনিটির পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনী শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং প্রকাশিত হয় একটি বিশেষ স্মারকগ্রন্থ, যেখানে গবেষণা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন লেখা স্থান পেয়েছে।