উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন করে ২৫টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই গাড়িগুলো কেনার জন্য নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হলেও, উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন দেয়নি। গাড়ি কেনার এই উদ্যোগ নিয়ে ব্যয়ের যৌক্তিকতা ও সময়োপযোগিতা নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এসব গাড়ি কেনা হতো পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে গিয়ে, অর্থাৎ প্রচলিত নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে।
তবে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সভায় আরও দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়, যার মধ্যে একটি অনুমোদিত হয়েছে এবং অপরটি ছিল এই গাড়ি কেনার প্রস্তাব—যা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমান আর্থিক বাস্তবতায় সরকারি ব্যয় সংকোচনের নীতিমালা কার্যকর রাখার প্রয়োজনীয়তা বারবার আলোচিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ২৫টি বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রস্তাবটি অনেকের কাছেই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের এই সিদ্ধান্তকে তাই অনেকেই সময়োপযোগী ও ব্যয়সচেতনতার একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “প্রতিটি ব্যয়ের পেছনে যেন সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতা থাকে, তা নিশ্চিত করা দরকার। এই ধরনের উদ্যোগ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা দরকার।”