বৈসম্যের স্বীকার গাবতলীর বাগবাড়ি শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ

এফএনএস (মো: আমিনুর ইসলাম; গাবতলী, বগুড়া): | প্রকাশ: ২১ মে, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
বৈসম্যের স্বীকার গাবতলীর বাগবাড়ি শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বৈসম্যের কারনে সরকারি হয়নি বাগবাড়ি শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ। উল্টো নাম পরিবর্তন ও মুছে ফেলার চেস্টা করা হয়েছে বারবার। কলেজটি সরকারি করনের দবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গ। বুধবার (২১মে) কলেজ চত্বর থেকে আন্দোলনের অংশ হিসাবে মানববন্ধন ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরন শুরু করা হয়েছে।

জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৯৯৩ সালে শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি, গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িতে শহীদ জিয়ার নামে শিক্ষা বিস্তার ও এলাকায় উন্নয়নের কথা চিন্তা করে কলেজের প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠার পরথেকে সুনামের সাথে উপজেলার মধ্যে ভালো ফলাফলের প্রতিযোগীতা করে আসছে কলেজটি। সাড়ে ৪ একরের অধিক (১৫ বিঘা) পরিমাণ জমির মধ্য, ৩ একর (১০ বিঘা) পরিমসন জমির উপর শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ অবস্থিত। মনোরম পরিবেশে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। ১৯৯৪ সালে এমপিও, ১৯৯৬ সালে বিএম, ২০১৫/১৫ সালে অনার্স শিকৃর্তি লাভকরে। এই কলেজে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯১ জন শিক্ষক প্রতিনিয়ত পাঠদান করে যাচ্ছেন। সরকারি হওয়ার সকল নিয়মনীতি থাকলেও শুধু শহীদ জিয়ার নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারনে সরকারি করেনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। উল্টো কলেজ থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলা ও পরিবর্তন করার চেস্টা করা হয়েছে বারবার।

শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারি করন আন্দোলনের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ ও কৃষকের সন্তানের কথা চিন্তাকরে তারেক রহমান তার পিতা শহীদ জিয়ার নামে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। বেসরকারিভাবে লেখা পড়ার খরচ অনেক বেশি, কলেজটি সরকারি হলে শিক্ষার্থীদের খরচকম লাগবে, শিক্ষার প্রসার ঘটবে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ  আব্দুল বারী বলেন, কলেজটি বৈসম্যের স্বীকার করেছে হাসিনার সরকার। আমরা বাগবাড়ি শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজটি সরকারি করনের জন্য আন্দোলনে নেমেছি, আমাদের দাবী আাদায় করে ছাড়বো।

সাবেক ভাপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফজলার রহমান বলেন, বাগবাড়ি শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে, জিয়ার নাম পরিবর্তন করতে আমাকে ডিজি অফিসে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল, সে সময়কার ফ্যাসিস্ট আওয়ামীর দোসর অফিস স্টাফরা।

আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকিও দেয়া হয়েছিল,আমি কঠোর থাকায় শহীদ জিয়ার নাম পরিবর্তন ও মুছে  ফলতে পারেনি।


শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারি দাবী আন্দোলনের সদস্য সচিব জিনিয়া নাজনিন, মোস্তফা শওকত রায়হান, আব্দুল মালেক, কামরুল ইসলাম, কবির আহমেদ রনি, মোস্তফা আহম্মেদ, আব্দুল খালেক সহ সহকারী অধ্যাপক আফরোজা নাসরিন জলি, নিলুফা ইয়াসমিন মিলি প্রমুখ ও কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীগন, শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে