দিনাজপুরে লাল ও গোলাপী রংঙের লিচু বাজারে উটতে শুরু করেছে। লিচুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলা। লিচু চাষের উপযোগী বেলে ও দোআশ মাটি থাকায় এবং লাভ জনক হওয়ায় কাহারোল উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে লিচু চাষের আবাদ। বানিজ্যিক ভাবে লিচু আবাদ শুরু হয়েছে দুই যুগ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধীরে ধীরে কাহারোল উপজেলায় লিচুর চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলায় উৎপাদন হয় মাদ্রাজি, বোম্বাই, চায়না থ্রি, চায়না টু, বেদেনা, কাঠালি সহ নতুন নতুন জাতের লিচু চাষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লিচুর ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকেরা কাক ডাকা ভোর হতে শ্রমিক নিয়ে লিচুর গাছ হতে লিচু পাড়ছেন। পাকা লিচু পেড়ে ক্যারেটে ও খাচায় লিচু ভর্তি করে ট্রাকে লোড করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে লিচু ব্যবসায়ীরা।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ শত ৪০ হেক্টর জমিতে ৪শত ৪২টি বড় বাগান ও কৃষকের বাস্তভিটা সহ ৯শত ২৮টি ছোট বড় বাগান রয়েছে। কৃষি বিভাগ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরেছেন, ৯ লক্ষ ৮০ হাজার কেজি। চাপাই নবাব গঞ্জ জেলার মহারাজপুর গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী মোঃ হাবিবুর রহমান কাহারোল উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের বাগান মালিক মোঃ আশরাফুল হকের ৩ শত লিচুর গাছ ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। এ যাবৎ তার খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা মুকুল আশা থেকে এখন পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আজ পর্যন্ত ২৪ লক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করেছি বাগানে বসে। আরও আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা দাম পাবো বলে আশা করছেন। উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে সুশিল চন্দ্র রায়ের লিচুর বাগান কিনেছেন, ফেনি জেলার মোঃ আরব আলী বাগানটি ৫ লক্ষ টাকায় ক্রয় করেছেন এ যাবৎ বিক্রি করেছেন ৬ লক্ষ টাকার লিচু। আরও ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা বিক্রি করবেন বলে আশা করেন।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে গতবারের তুলনায় দাম বেশী রয়েছে। কৃষি বিভাগ লিচু চাষী, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছেন যাতে করে লিচুর ভাল ফলন পাওয়া যায়।