জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের বনানীর বাসায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাসার নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় তৃতীয় তলায় থাকা তার পরিবার দমবন্ধ করা ধোঁয়ার মধ্যে আটকা পড়েন। ধোঁয়া ও আগুনের কারণে মুহূর্তেই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিছুক্ষণ বারান্দায় অপেক্ষা করার পর পাশে থাকা গীতিকার শাহান কবন্ধের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাপ্পা। এরপর স্ত্রী তানিয়া হোসাইন ও দুই কন্যাসন্তানসহ নিরাপদভাবে বাসা থেকে বেরিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন তারা।
বাপ্পা মজুমদার নিজেই এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “ইন্টারকমে কল পেয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে চারদিকে ধোঁয়ায় অন্ধকার দেখি। আগুনের আঁচ এসে মুখে লাগে। আমি ঘাবড়ে যাই, কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাসায় প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট দমবন্ধের মতো পরিস্থিতি ছিল। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে বাকি সবাইকে উদ্ধার করে।”
বাপ্পা একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আমাদের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি, আমরা সবাই নিরাপদে আছি। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অশেষ ধন্যবাদ। তারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কী যে হয়ে যেত, ভাবতেই শিউরে উঠছি! এটি একটি বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা, এখনও ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।”
ঢাকার বনানীর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল বৃহস্পতিবার সকালে। বাপ্পা মজুমদার জানান, আগুনের সূত্রপাত ছিল নিচতলায় এবং তারা তৃতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন। তিনি জানান, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন, তবে এই মানসিক ট্রমা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে সময় লাগবে।
পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি আশ্বস্ত করে জানান, “আমাদের পরিবার কিংবা ওই বাসার অন্য কারো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং কেউ আহতও হননি। বলা যায়, ভয়ংকর বাঁচা বেঁচে গেছি।”
গবেষণা করলে জানা যায়, বাপ্পা মজুমদার ও অভিনেত্রী তানিয়া হোসাইনের বাগদান হয়েছিল ২০১৮ সালের ষোলই মে এবং এক মাসের মাথায় ২৪ জুন তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাদের প্রথম কন্যাসন্তান জন্ম নেয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় কন্যা সন্তান এসেছে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে।