সাতক্ষীরায় বাস্তুচ্যুত এবং বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ১৫০০ পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা সদরের ৫টি বস্তি এবং শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও কৈখালি ইউনিয়নে তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডিজিটাল কর্নারে প্রকল্প অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অতীশ সরকার। সভায় জানানো হয়- বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত এবং বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা পরিবারকে সহায়তা প্রদানের জন্য দাতা সংস্থা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন- এর আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় এবং উত্তরণ-এর বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫টি বস্তি ও শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ও বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নে "এমপাওয়ারিং ক্লাইমেট মাইগ্রেটস্ অ্যান্ড এট-রিস্ক কমিউনিটিস: এনহ্যাঞ্চিং অ্যাক্সেস টু পাবলিক রিসোর্সেস, সার্ভিসেস অ্যান্ড পলিসি ইনফ্লুয়েন্স ফর রেজিলিয়েন্স বিল্ডিং" নামক তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ডিসেম্বর, ২০২৭ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে সাতক্ষীরায় জলবায়ু অভিবাসী এবং বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকিতে থাকা পরিবারের অধিকার সম্পর্কে নাগরিক সমাজের সমর্থনের বর্ধিত কার্যকারিতা খাসভূমি, জলাশয়, সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং জনসেবা প্রদান করা হবে। এরফলে সাতক্ষীরায় জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এবং জলবায়ু সহনশীল সমাজের জন্য উন্নত নীতি পরিবেশ নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন সুধীজন।
জলবায়ু অভিবাসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন- স্থিতিস্থাপকতা তৈরির জন্য জনসাধারণের সম্পদ, পরিষেবা এবং নীতিগত প্রভাবে অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবে ঝুঁকিপূর্ণ জলবায়ু অভিবাসী ১৫০০ পরিবার এবং বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকিতে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ৫০০পরিবার। সভায় বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট-এর টিম লিডার মিস্টার এডউইন কোয়েককোয়েক, খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের ডিসিপ্লিন প্রফেসর ডক্টর আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব কুমার বসু, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ভালুকা চাঁদপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এআরএম মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জীসহ সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তাগণ।