সাতকানিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মোখতার হোসেন (৩০) নামক এক টমটম চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী তুহিন (২৪) কে আটক করা হয়েছে। মোখতার সাতকানিয়া উপজেলার ৯ নম্বর পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতি আলীনগর এলাকার মাহবুবুর রহমান (৮২) এর একমাত্র পুত্র।
সাতকানিয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার দাশ ২২ মে বৃহস্পতিবার পৌরসভার ডলু ব্রীজের নিকটবর্তী ঘাটিয়া পাড়াস্থ আপন নিবাস নামক ভবনের ভাড়া বাসা হতে ঝুলন্ত অবস্থায় মোখতারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে অথবা পরকীয়ার কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
মোখতারের তিন বোন ইয়াছমিন আকতার সুমি, জেসমিন আকতার জেসি এবং নাসমিন আকতার নাসু তাদের ভাইকে স্ত্রী তুহিন তার পরকীয়া প্রেমিক বা ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।
তারা বৃহস্পতিবার থানার গোলঘরে বসে সমবেত লোকজনের সামনে বলেন "আমার মা শামসুন্নাহার ২০১৯ সালে মারা যাবার পর মাদার্শার তুহিনকে আমাদের ভাইয়ের বউ করে আনি। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস পর তুহিন আমার ভাইকে আলাদা বাসা নিতে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে তারা আলাদা বাসায় চলে যায়। কিন্তু সেখানেও তাদের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তুহিন পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখত। বাঁধা দিলে মোখতারকে উল্টো নির্যাতন করত।"
তারা মোখতারের একমাত্র মেয়ের একটি ভিডিও এ প্রতিবেদককে দেখান। তাতে মোখতারের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা আইরাকে বলতে শোনা যায়, "আমার আব্বাকে দুইজন লোক এসে মেরে ফেলেছে।"
পুলিশ তথ্য উদঘাটনের জন্য মোখতারের স্ত্রী তুহিনকে আটক করেছে। তবে তুহিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, "বাসার রুমের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন রকম কথা শোনা যাচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে। বাসায় একটা আই পি ক্যামেরা ছিল। মেমোরী এখনও মিলেনি। তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোখতারের স্ত্রীকেও থানায় আনা হয়েছে। আশা করি সঠিক তথ্য উদঘাটিত হবে।"