সাবেক নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি'কে প্রধান আসামী করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে বিরল থানায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য উপাদানবলী আইন এর ৩ তৎসহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোড এর বিভিন্ন ধারায় একটি (মামলা নম্বর-১৬/১৪২, তারিখ-২২ মে ২০২৫ইং) মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকালে বিরল থানায় উপস্থিত হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন উপজেলার ০৭নং বিজোড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। বিরল থানার ওসি (তদন্ত) আনিছুর রহমান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার ০৭নং বিজোড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর (বানিয়াপাড়া) মোড়ে বিএনপি’র অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে ২৭ ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টার সময় বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে মারাত্মক অস্ত্রে সস্ত্রে দাঙ্গায় সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুত্বর জখম অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে ক্ষতি সাধনের হুমকি এবং হুকমদাতাদের বিরুদ্ধে হামলা ও তাণ্ডবের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও সেদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি সোঠা ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে নেতাকর্মিদের মারপিট করে এবং ইট পাটকেল নিঃক্ষেপ’সহ নেতাকর্মীদের মোটর সাইকেলের উপর ব্যাপক ভাবে ধ্বংশযজ্ঞ চালায়, উক্ত ঘটনার বিষয়ে অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাৎক্ষনিক খবর পেলে ১০/১২টি মোটরসাইকেল ও একটি হায়েজ মাইক্রোবাস নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোটরসাইকেল ও হায়েজ মাইক্রোবাসেও এলোপাথারিভাবে ইট পাটকেল ও লাঠি সোঠা দিয়ে হামলা ভাংচুর ও ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ চালিয়ে আনুমানিক ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা ক্ষতি সাধন করে এবং একই ইউনিয়নের ভবানীপুর (বানিয়াপাড়া) বাজারে থাকা ঔষধের দোকানদার জনৈক মোঃ কায়সার আলী’র দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করে আনুমানিক ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকার মত ক্ষতিসাধন করে এছাড়া বিভিন্ন নেতাকর্মীদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুত্বর আহত করে।