দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়ায় ব্রীজ নির্মাণে বাঁধা ও উন্নয়নকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। ২৪ মে শনিবার সকালে উপজেলার ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দক্ষিণ সোনাকানিয়া জানার পাড়ার নানিয়ার ছড়া খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের পাশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবু বক্কর ছিদ্দিক রানা, জানার পাড়া জামায়াতের ইউনিট সভাপতি লেয়াকত আলী, স্থানীয় জামায়াত নেতা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মছনের হাট দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হাফেজ শাহ আলম, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন, জামায়াত নেতা মঈনুদ্দীন, আব্দুল আজিজ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, নানিয়ার ছড়া খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রীজটি সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রাপ্ত। এটি সাতকানিয়া অংশে নির্মিত হচ্ছে। এটির মাধ্যমে এলাকাবাসী উপকারভোগ করবে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্রীজটি লোহাগাড়া উপজেলা এলাকায় নির্মাণ করাতে চায়। এ ব্যাপারে আমরা সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। বক্তারা আরো বলেন, বিগত আওয়ামী আমলে কলমের দাপট দেখিয়ে চলা এক লোক ব্রীজটি তার নানার বাড়ির এলাকায় নির্মাণ করাতে চাচ্ছে। কিন্তু সেই জায়গাটি লোহাগাড়ার আওতাভূক্ত। এছাড়াও ঐ জায়গায় ব্রীজটি নির্মাণ করতে গেলে আলাদাভাবে সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, সাতকানিয়ার বরাদ্দ লোহাগাড়ায় ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, "আমি ব্রীজ নির্মাণাধীন জায়গায় গিয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকশো মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ব্রীজের অপর পাশে মাদ্রাসা, মানুষের বসতবাড়ি ও খেত খামার সহ মানুষের যাতায়াত রয়েছে। এছাড়াও এটি সাতকানিয়ার প্রজেক্ট এবং দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত। যদি এই প্রজেক্ট স্থানান্তর কিংবা কাজ বন্ধ করতে চায় তাহলে সেটা কেবল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পারবে।"