আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি মৌজায় বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি খনন কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খরিয়াটি গ্রামের শেখ মশিউর রহমান ও আলহাজ্ব আব্দুল বারীক জানান, খরিয়াটি মৌজায় এসএ খং ৪, দাগ নং ২১৫১ এ ২২.৫০ একর ও ২২০৯ নং দাগে ৩.৬০ একর সহ মোট ৭০.৯৯ একর জমির মধ্যে ২৬.১০ একর জমি আমাদের বেকর্ডীয় ও ভোগদখলীয় জমি। সর্বশেষ সেটেলমেন্টে আমাদের নামে প্রিন্ট পর্চা হয়েছে। যার খং নং ১৬৬৩, দাগ নং ৩৭৬১, ৩৯১৫, ৩৭৬৪/৪২১২, জমির পরিমান ১১.২৫ একর। আমরা জমির রেকর্ড পেয়েছি, খাজনা পরিশোধ করে জমিতে মাছ চাষ করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছি। জমি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করা হলে আমরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত আশাশুনি, সাতক্ষীরায় ১৪/১১/২১ তাং কাঃবিঃ ১৫১ ধারায় দেং ৩৩৮/২১ নং মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালতে দরখাস্তটি আংশিক মঞ্জুর করা হয়। এবং দোতরফা সূত্রে শুনানী না হওয়া কালতক নালিশী জমির নিহস্তি অবস্থা স্টেটাস্ক বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই থেকে বাদী পক্ষ মশিউর রহমান দিং পূর্বের ন্যায় অদ্যাবধি জমিতে দখল ও ভোগজাত করে আসছেন। বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশের প্রায় ৩ বছর পর হঠাৎ করে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ রোববার (২৫ মে) সকালে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে জমিতে ভ্যেকু মেশিনদ্বারা খনন কাজ শুরু করেন। ফলে জমির বৈধ মালিক পক্ষ চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে খনন কাজের সাথে জড়িত ভ্যেকু চালক জামাল উদ্দীন জানান, জমির মালিক দাবীদার পক্ষ নির্দিষ্ট করে আমাদের জমি দেখিয়ে দেয়নি, আমরা এলাকার মানুষের কথা মত মাটি কাটার কাজ করছি।