সাম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ঢাবি কমিটির প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
সাম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ঢাবি কমিটির প্রতিবেদন জমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কমিটি তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের অনুসন্ধানের ফলাফল উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পর্যালোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।  

সোমবার (২৬ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এ সময় প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য-সচিব সহকারী প্রক্টর শারমীন কবীর উপস্থিত ছিলেন।  

শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গত চৌদ্দে মে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন কলা অনুষদের ডিন। পরবর্তীতে কমিটিতে ব্যারিস্টার নুরুল আজিমকে কো-অপ্ট করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার।  

গত তেরোই মে দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।  

ঘটনার পর নিহতের পরিবার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যেখানে ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও, ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সাম্যের হত্যার বিচার দাবি করে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠন দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও কর্মসূচি পালন করে আসছে।  

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে