মানসম্পন্ন ও চাহিদাসম্পন্ন সকল ফসলের চারা এখন এক ছাদের নীচে। বিগত দুই অর্থবছরে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (ডিএই পার্ট) প্রকল্পের আওতায় বিরল উপজেলায় গড়ে উঠেছে দুটি বিশ্বমানের পলিনেট হাউজ। একটি রানীপুকুর ইউনিয়নে অন্যটি ধর্মপুর ইউনিয়নে। এক এক মৌসুমে তিন লক্ষ আশি হাজার থেকে প্রায় চার লক্ষ চারা চারা এই পলিনেট হাউজে উৎপাদন করা সম্ভব হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বিরলের কৃষক ভাইয়েরা বর্তমানে বীজ কেনেন না বরং তারা সরসারি মানসম্পন্ন বিভিন্ন উচ্চমূল্যের চারা ক্রয় করে থাকেন। এই চারা শুধুমাত্র বিরলের চাহিদাই পূরণ করছে না বরং নীলফামারী, রংপুর, ঠাকুরগাঁও ইত্যাদি জেলার চাহিদাও পূরণ করে চলেছে। আমাদের পলিনেট হাইজে উৎপাদিত চারা মাটি ব্যাতীত সরাসরি কোকোপিটে, জৈবসারের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে। এই চারা মারা যাওয়ার হার প্রায় শূন্য জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার।
কৃষক প্রয়োজনে এখানে তাদের চাহিদা জানাতেও পারেন। আর চাহিদা অনুযায়ী চারা উৎপাদন করে দেয়া হয়। শুধুমাত্র এই পলিনেট হাউজ দু’টির কারণে অতিবৃষ্টি, বন্যা, খড়া, তীব্র শীত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলেও বিরলে কৃষক অনেকটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। বিশ্ব ব্যাংকসহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের টিম বেশ কয়েকবার এই পলিনেট হাউজ দু’টি পরির্দশন করেছেন বলে উপজেলা কৃষি অফিসার জানান।