সচিবালয়ে চতুর্থ দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচী, নিরাপত্তা জোরদার

চতুর্থ দিনের মতো সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করতে দেখা গেছে। 

এসময় তারা বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিতে দেখা গেছে, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালে আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’।

বিক্ষোভে অংশ না নেওয়া অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অনেকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। অবৈধ কালো আইন মানা হবে না বলে স্লোগান দিচ্ছেন কর্মচারীরা।

এদিকে আজকের কর্মসূচী ঘিরে সচিবালয়ের গেটগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সচিবালয়ে ঢ়ুকতে দেওয়া হয়নি। সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। গত রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

চারটি কর্মকাণ্ডকে অসদাচরণ হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে-

১। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব পালনে গাফিলি,

২। অন্য কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া বা উসকানি দেওয়া,

৩। একক বা সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতি পালন,

৪। শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা কর্তব্যে বাধা সৃষ্টি করে এমন কার্যকলাপে জড়িত হওয়া।

এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর শনিবার থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর রবি (২৫ মে) ও সোমবার (২৬ মে) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।