হত্যা মামলায় আবারও রিমান্ডে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ২৭ মে, ২০২৫, ০২:২৯ পিএম | প্রকাশ: ২৭ মে, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
হত্যা মামলায় আবারও রিমান্ডে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম
কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম

এক দশকের পুরনো একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আবারও রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে। এই মামলায় এর আগেও তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৭ মে) আদালতে হাজিরা শেষে তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী।

সকালে সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মমতাজ বেগমকে মানিকগঞ্জ আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ছিল কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুপুর ১২টার দিকে মামলার নিয়মিত শুনানিতে অংশ নিতে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক নতুন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মানিকগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মিয়া জানান, সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় সংঘটিত চারটি হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত তার নতুন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুইটি ভিন্ন মামলায় দুই পর্যায়ে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। চিফ জুডিশিয়াল আদালত-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুন নূর সিংগাইরের চারটি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড দেন এবং চিফ জুডিশিয়াল আদালত-৩ এর বিচারক আইভি আক্তার হরিরামপুর থানার হামলা, মারধর ও ভাঙচুর সংক্রান্ত মামলায় দুই দিনের রিমান্ড দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের হরতালের দিন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতাল সমর্থনে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর, চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর নিহত ব্যক্তিদের একজনের স্বজন মজনু মোল্লা সিংগাইর থানায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার পর ১২ মে রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১৩ মে তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে এই মামলাটি আবারও জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পুলিশ একাধিকবার রিমান্ডের আবেদন করেছে, যা আদালত মঞ্জুর করেছে। এদিকে মমতাজ বেগমের পক্ষ থেকে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আইনগত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে