হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে, পরিমান একেবারে নগন্য

এফএনএস (কেশব কুমার বড়ুয়া; হাটহাজারী, চট্টগ্রাম) : | প্রকাশ: ২৭ মে, ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে, পরিমান একেবারে নগন্য

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের  হালদা নদীতে দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে মা মাছ সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নমুনা ডিম ছেড়েছে। তবে নমুনা ডিমের পরিমান একেবারে নগন্য। একজন ডিম সংগ্রহকারী ৮ থেকে ১২ পর্যন্ত নমুনা ডিম পেয়েছে। 

গত এপ্রিল মাস থেকে আমাবস্যা ও পূর্ণিমার  জো/ তিথি থেকে ডিম ছাড়ার মৌসুম শুরু হয়েছে। কিন্তু বজ্রসহ প্রবল বর্ষন, নদীতে ঢলের প্রকোপ না থাকা , পানি ঘোলাটে ও পরিবেশ শীতল না থাকায় মাছ ডিম ছাড়েনি একই অবস্থা বজায় থাকায় চলতি মে মাসের পূর্ণিমার তিথিতে ও মা মাছ ডিম ছাড়েনি। বর্তমানে আমাবস্যার জো চলমান থাকলে ও বজ্রসহ বর্ষনের তেমন প্রকোপ নেই। ফলে নদীতে ঢল ও নেই। প্রচন্ড গরমে নদীর পানিতে শীতলতা ও নেই। এদিকে পেট ভর্তি ডিম নিয়ে মাছ নদীতে ঘুরাঘুরি করছে। বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে নদীতে ঢলের প্রকোপের কারনে পানি ঘোলাটে রুপ ধারন করে পানি শীতল হলে মা মাছ ডিম ছেড়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি মাসের চলমান তিথিতে মাছ ডিম ছাড়তে পারে এই প্রত্যাশায় ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা ও ডিম আহরনের সরঞ্জাম নিয়ে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে।  সোমবার দিবাগত রাতে নমুনা ডিম ছাড়ার পর ডিম সংগ্রহকারী মঙ্গলবার সকালে জোয়ার সময় ডিম ছাড়বে বলে আশা করেছিল। কিন্তু জোয়ারের সময় ও ডিম ছাড়েনি মাছ। সোমবার দিবাগত রাতে হালদা নদীর গড়দুয়ারা নয়াহাট, কাটাখালী, পশ্চিম গুজরা, আজিমারঘাট, নাপিতেরঘাট প্রভৃতি স্থানে একেক জন ডিম সংগ্রহকারী ৮ থেকে ১২টা করে ডিম পেয়েছে বলে  গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহ কারী গড়দুয়ারা কামাল সওদাগর, মাছুয়াঘোনার মোঃ শফি, আবদুল কাদের, ও ইউনুস মুনসি। তারা বলেন এক শ্রেনীর কৃত্রিম রেনু পোনা ব্যবসায়ী নমুনা ডিমকে হালদার রেনু বলে বিক্রির করে হালদার ঐতিহ্যকে ক্ষুন্ন করে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এব্যাপারে রেনু ক্রেতাদের তারা সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পেটে ডিম ভর্তি মা মাছ নদীতে আনাগোনা/ ঘুরাঘুরি করছে বজ্রসহ বৃষ্টির আলামত, নদীতে ঢলের প্রকোপ পেলে ডিম ছাড়বে মাছ। এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। হালদা নদী থেকে সংগৃহীত ডিম থেকে রেনু ফোটানো জন্য হালদা নদীর পাড়ে স্থপিত ৪টি সরকারী হ্যাচারী ও শতাধিক মাটির কুয়া প্রস্তত রয়েছে। 

হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবেটরির সমন্মক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মঞ্জুরুল কিবরিয়া সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হালদা নদীতে মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। বজ্রসহ প্রবল  বৃষ্টিপাত হলে, নদীতে ঢলের প্রকোপ দেখা দিলে ডিম ছাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাছের পেটে পর্যাপ্ত ডিম রয়েছে। পরিবেশ পেলে মাছ ডিম ছেড়ে দিবে। তবে নদীর পানির টারবিডিটি (ঘোলাটে ভাব) এখন ১০০ থেকে ১৫০। ডিম ছাড়ার জন্য প্রয়োজন ৬০০থেকে ৭০০ ঘোলাটে ভাব।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে