সম্প্রতি ঘোষিত পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের কমিটিকে বিতর্কিত ও পকেট কমিটি বলে অভিহিত করে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজ শাখা ছাত্রদল পদবঞ্চিতরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, ১২ মে ঘোষিত কলেজ কমিটিতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ও বিবাহিত ছাত্ররা রয়েছে। তারা সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন যারা ফ্যাসিবাদের দোসর তাদেরকে অন্তর্ভুভক্ত করে যে কমিটি ঘোষিত হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না।
মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ঘোষিত ওই পকেট কমিটিতে পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র রাফি শিকদার মুন্নাকে সভাপতি ও আবু বকর ছিদ্দিক রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনকারীদের দাবি কমিটির সভাপতি রাফি আওয়ামীলীগের সুবিধাভুগি এবং গত ৭ আগষ্ট মুন্না জেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ ছালীগের নেতাদের পালাতে সহযোগিতা করেছিল। এছাড়া নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনি দীর্ঘদিন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম টিটুর সাথে থেকে রাজনীতি করেছে। এছাড়াও কমিটির অপর ৮ জনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের রাজনীতি ও বিবাহিত হবার অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্য আরো জানানো হয়, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তানজিদ রশিদ বাপ্পী টাকার বিনিময়ে এই সকল বিতর্কিদের দিয়ে কমিটি দিয়েছে। তারা বারবার অভিযোগ দিলেও বিগত দিনে হামলা-মামলার শিকার ও ত্যাগীদের এ কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কমিটির সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত জাহান মিম, কলেজ ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার শেখ, ফয়সাল আহমেদ, মো: ওয়ালিউল্লাহসহ পদবঞ্চিতরা।
সংবাদ সম্মেলনের আগে পদবঞ্চিতরা ঘোষিত সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবীতে কলেজ ক্যাম্পাসে ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয়ে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তানজিদ রশিদ বাপ্পী জানান, ৫ আগষ্টের পূর্বের রাজপথের দলীয় কার্যক্রম বিবেচনা করে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের টিমের ৬ মাসের কার্যক্রমের পরে এ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষনা করার আগে সবাইকে ৪৮ ঘন্টার সময় দেয়া হয়েছিলো কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য। তখন এ সকল অভিযোগ কেউ করেনি। কমিটি ঘোষনার পরে এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এছাড়া কমিটি গঠনে অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা এখন আন্দোলন করছে তারা অনেকেই কলেজের ছাত্রই না।