আগামীতে যারা নেতৃত্ব দিতে চায় তাদেরকে দেশের প্রত্যেকটা স্থান ঘুরে দেখতে হবে

বুধবার (২৮ মে) দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র পথ সভা।  দুপুরে বিরল উপজেলা শাখা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

উপজেলার বকুল তলা মোড়ে সারজিস আলম বলেন, আপনাদের কথা শুনতে, কথাগুলো নিতি নির্ধারক মহলে জানাতে এবং কথাগুলো আগামীর বাংলাদেশে বলতে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। বিগত ১৬ বছরে উত্তরাঞ্চলকে সবসময় সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে একটা পৌরসভায় যে উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হতো উত্তরাঞ্চলে একটি জেলাতেও সে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হতো না। দক্ষিণাঞ্চলে একটি এক্সপ্রেসওয়ে করতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হতো উত্তরাঞ্চলের পুরো রংপুর বিভাগে সে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হতো না। এই উন্নয়ন বৈষম্যের মধ্যদিয়ে বিগত এক যুগ অতিবাহিত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলে কোথায় কি সমস্যা? সেগুলো রাজপথ থেকে মাঠে ঘাটে হেঁটে দেখে সকল সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে বলার জন্য আজকে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি আগামীর বাংলাদেশে যারা নেতৃত্ব দিতে চায় তাদেরকে আগে দেশের প্রত্যেকটা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে ঘুরতে দেখতে ও জানতে হবে। আমরা দেখেছি বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক যে চর্চা হয়েছে সেখানে নেতারা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ভোট চাইতে আপনাদের কাছে আসে। নির্বাচনের পরের পাঁচ বছর আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা মনে করি আগামীর বাংলাদেশে যারা নেতৃত্ব দিতে চায় তাদেরকে আগে দেখতে হবে মানুষ কি চায়? রাস্তাঘাটগুলোর কি অবস্থা? হাসপাতালে খালি বিল্ডিং আছে, না ডাক্তারও আছে? থানায় ভালো পুলিশ কর্মকর্তারা আছে, না থানায় কথা বলার আগে টাকা চাওয়ার মতো পুলিশ কর্মকর্তারা আছে? আমরা দেখতে এসেছি ভূমি অফিস গুলোতে মানুষের যে সেবা পাওয়া অধিকার রয়েছে তারা সেই প্রাপ্য সেবাগুলো পায় কি না? নাকি সেখানে সেবা পাওয়ার আগে টাকার জন্য দর কষাকষি হয়? আমরা দেখতে এসেছি সাধারণ জনগণ কোন নির্দিষ্ট চাঁদাবাজের হাতে জিম্মি কি না? যদি কোন চাঁদাবাজ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করতে চায় আমরা তাদের বিপক্ষে দাড়িয়ে যাবো। একটা জেলায় এবং উপজেলায় কত বড় ক্ষমতাশালী একজন চাঁদাবাজ হতে পারে আমরা বিশ্বাস করি সে শেখ হাসিনার চেয়ে ক্ষমতাবান কেউ নয়। শেখ হাসিনার যদি পতন হতে পারে তাহলে প্রত্যেকটি জেলা এবং উপজেলার ২/৪ জন ছেচড়া চাঁদাবাজেরও পতন সম্ভব।

এছাড়াও পথসভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সারোয়ার তুষার, আতিক মুজাহিদ, লিওন, সাদিয়া ফারজানা, আরিফ মুন, রেজাউল ইসলাম এবং দিনাজপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক একরামুল হক আবির, সদস্য সচিব অন্তু খান, সদস্য ফয়সাল, মেহেদী হাসান, বিরল উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ, এনসিপির বোচাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি বোচাগঞ্জ, কাহারোল ও বীরগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন।