প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হয়ে

চিলমারীতে পবিত্র ঈদ-উল-আয্হা উপলক্ষে গরুর হাট বসেছে

মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম সিদ্দিক; চিলমারী, কুড়িগ্রাম | প্রকাশ: ২৯ মে, ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
চিলমারীতে পবিত্র ঈদ-উল-আয্হা উপলক্ষে গরুর হাট বসেছে
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পবিত্র ঈদ-উল-আয্হা উপলক্ষে থানাহাট ইউনিয়নের চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে গরুর হাট। গরু-মহিষের পায়ে পিষ্ট হয়ে নষ্ট হতে পারে মাঠ এমন আশঙ্কা করছেন উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হবে পুরো মাঠের খেলার পরিবেশ। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় জনমনে। জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে চিলমারীতে গরুর হাট বসে চিলমারী সরকারি কলেজ মাঠে, তবে গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সেটি প্রচারিত হলে উপজেলা প্রশাসন হাটটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এ বছর উপজেলা বিএনপি’র মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও হাট ইজারাদার জেয়ারা খাতুন রোজি তার দাপট দেখিয়ে অনুমতি ছাড়াই চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গরুর হাট বসিয়েছেন। তিনি দলের পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে গরু-ছাগল, মহিষসহ প্রায় কয়েকশ গবাদিপশু বিক্রির জন্য বেঁধে রাখা হয়েছে। এতে গরুর পায়ের আঘাতে ও মলমূত্রেও নষ্ট হচ্ছে মাঠের ঘাস। এই হাট বসেছে দুপুর দুইটার পর জানিয়েছেন হাট কর্তৃপক্ষ। ক্রান্তি শর্মা, সুরাইয়া খাতুন, মনিসহ অর্ধশতাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সামনে খেলার মাঠে এই গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে। বর্ষার মৌসুম হওয়ায় মাঠে সারাক্ষণ কাদা জমে থাকে। সবেমাত্র আমাদের মাঠে মাটি ভরাট করে সংস্কার কাজ হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত মাঠে খেলতে পারি নাই কিন্তু এর মধ্যেই মাঠে গরু হাট বসেছে। আমরা চাই এই গরুর হাট বন্ধ হোক আমাদের মাঠে গরুর হাট চলবে না। গরুর হাটের কারণে বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে গরুর হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেত্রী, হাট ইজারাদার ও সহকারী শিক্ষক জেয়ারা খাতুন রোজি বলেন, সব বিষয়ে আপনারা যদি অনুমতি এটাসেটা চান এগুলো তো লোকাল বিষয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সাজু জানান, আমি বিদ্যালয়ে গরুর হাটের অনুমতি দেইনি। তবে হাটের বিষয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি হ্যাঁ ও বলেনি না ও বলেনি। আমার শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে ইউএনও মহোদময়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ কুমার বসাক বলেন, হাট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের লিখিত আবেদন পাইনি। তাছাড়া আমি হাট বসানোর অনুমতি প্রদান করিনি।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে