কয়রা সদর ইউনিয়নের হরিনখোলা নামক স্থানে পাউবোর বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে করে ঐ এলাকার মানুষ ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে কাজ না করলে যে কোন মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। যার কারনে এলাকাবাসী রয়েছে উৎকণ্ঠায়। সরেজমিনে গিয়ে গেছে, বৈরী আবহাওয়া ও সাগরে লঘুচাপের কারনে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই দিনে হরিন খোলা নামক স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। ওই ঝুকিপুর্ণ জায়গায় ৩০ মে (শুক্রবার) সকালে হঠাৎ করে কয়রা কপোতাক্ষ নদের তীরে হরিনখোলা নামক স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালে তাৎক্ষনিক ভাবে সেখানে বস্তা দিয়ে কাজ শুরু করেছে। তবে জোয়ার সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছে এলাকাবাসী। সময় যত বাড়ছে ততোই যেন আরো বেশি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ঐ এলাকার বাসিন্দা বাবলু শেখ বলেন, ঝুকিপুর্ণ বেড়িবাঁধের তীরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে ভাঙ্গন আতংক বিরাজ করছে। কখন জানি ঝুকিপুর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লবণ পানিতে তলিয়ে যায়। বিগত দিনে ঐ এলাকাটি বারবার ভেঙ্গে মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্থনীয় ইউপি সদস্য শেখ আবুল কালাম বলেন, স্থানীয় রফিকুল ইসলামের মৎস্য ঘেরের নাইনটি বসানো জায়গাদিয়ে পানি প্রবেশ করছে। বাঁধ মেরামতের জন্য পাউবো কাজ শুরু করেছে। জরুরী ভিত্তিতে ঝুকিপুর্ণ বাঁধ মেরামত করা না হলে বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানিতে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। কয়রা সদর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত)চেয়ারম্যান এসএম লুৎফর রহমান বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়ানের হরিণখোলা নামক স্থানে পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ভাঙ্গনের বিষয়টি পাউবোর কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে কাজ না করলে এলাকা প্লাবিত হয়ে জমির ফসল,ঘরবাড়ি এবং মৎস্য ঘের নোনা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। এতে কয়রা উপজেলা সদর সহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, হরিনখোলায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কথা জেনেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়েছে। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম বলেন, কয়রার হরিনখোলা নামক স্থানে বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানার পর তাতক্ষনিক কাজ শুরু করা হয়েছে।