জয়পুরহাটের কালাইয়ে পারিবারিক কলহের কারনে নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর রদিয়া আক্তার রুহি (৫) নামের এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে কালাই থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামে নিজ বাড়ির টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় নিহত শিশুর চাচা উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে রনি, শিশুর সৎমা আব্দুর রহমানের ২য় স্ত্রী সোনিয়া এবং আব্দুর রহমানের শশুর পাঁচবিবি উপজেলার শালট্টি গ্রামের বাসিন্দা জিয়া কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, রদিয়া আক্তার রুহি কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে। রুহির আসল মায়ের নাম আর্জিনা। তার প্রথম স্ত্রী আর্জিনা পাশেই বাবার বাড়িতে থাকে। মেয়ে রুহি তার মায়ের সঙ্গে থাকলেও প্রায় প্রতিদিন দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যেত। গত ২৪ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে গিয়ে আর মায়ের কাছে ফিরেনি। রুহির কথা জানতে চাইলে রুহির চাচা ও সৎমা জানায় তার দাদি বাড়িতে না থাকায় তাকে মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন রুহির মা। পরদিন (২৫ মে) কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রুহির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়া কসাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (রুহির সৎমা), রুহির চাচা রনি এবং তিনি মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের ভেতরে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রুহির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রুহির মা আর্জিনা জানান, আমার মেয়ে কৌশলে ঘরে ডেকে নেয়ে রুহিকে বালিশচাপা দয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সু-বিচার চাই।
এই বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বলেন, তাদের পারিবারিক কলহের কারনে রদিয়া আক্তার রুহিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।