বাঘায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

এফএনএস (আমানুল হক আমান; বাঘা, রাজশাহী) : | প্রকাশ: ৩১ মে, ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
বাঘায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

রাজশাহীর বাঘায় চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্নসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা বাঘা প্রেস ক্লাবে ভূক্তভূগিরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভূগিরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার তেঁথুলিয়া-পীরগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের সাথে আড়পাড়া গ্রামের মৃত রহমান মন্ডলের ছেলে একলাসুর রহমানকে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১০ লক্ষ টাকার কথা বার্তা হয়। তিনি ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ২ লক্ষ টাকা দেন। নৈশ প্রহরী পদে একই গ্রামের মৃত চহরম প্রামানিকের ছেলে আবুল বাছেদ বাচ্চুর ৫ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। সেই মোতাবেক ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ৩ লক্ষ টাকা দেন। ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট পদে একই গ্রামের মৃত মহরম প্রামানিকের ছেলে নাসির উদ্দীনের ৮ লক্ষ টাকা কথা বার্তা হয়। সে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর  ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। 

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলে চাকরী দিতে পারেনি। এ সময় অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত একটি ব্যাংকের চেক প্রদান করা হয়। সুকৌশলে কিছুদিন পর টাকা ফের দিবেন বলে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চেকের পাতা ছিনিয়ে নেয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে একলাসুর রহমান বাদি হয়ে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রাজশাহী কোটে মামলা দায়ের করেন। ওই সময় অধ্যক্ষ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চেয়ারম্যানের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে মামলা খারিজ হয়ে যায়। পরে মামলা থেকে রক্ষার জন্য অধ্যক্ষ নিজে বাদি হয়ে ১০৭ ধারায়  ভূক্তভূগি চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ভূক্তভূগিরা নির্দোষ প্রমানিত হয়। 

পরে ২০২৪ সালের ২১ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভূক্তভূগিরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২ সেপ্টম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুনানির দিন ধার্য করলে অধ্যক্ষ উপস্থিত না হলে ভূক্তভূগিদের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলেন। 

কিন্তু অধ্যক্ষ টাকা ফেরত না দিয়ে, দিব নিচ্ছি বলে, কালক্ষেপন করে টাকাও দেয়নি চাকরিও দেয়নি। এরপর ২৭ মে রাজশাহীর আদালতে ৬ জনকে অভিভুক্ত করে অধ্যক্ষ বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভূগি একলাসুর রহমান, নাইম ইদ্দীন, ভূক্তভূগি আবুল বাছেদের ভাই নিজাম উদ্দিন।

এ বিষয়ে তেঁথুলিয়া-পীরগাছা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চেক দিয়ে টাকা নিয়েছিলাম। তাদের কাছে থেকে টাকা দিয়ে চেক ফেরত নিয়েছি। জোরপূর্বক চেক নেওয়ার বিষয়ে কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য না। তারা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে