এখন মবের যুগ। মব ভায়োলেন্স চলছে। তবে জাতীয় পার্টি মবে দূর্বল না। জাতীয় পার্টি যে কোন মব ফেস করতে পারে। কেউ মব করলে আমরা চাই না মব ভায়োলেন্স করতে। তবে কেউ একশন করলে আমরা রিএকশন করতে প্রস্তুত আছি বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রসিকের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শনিবার (৩১ মে) বিকেলে জিএম কাদেরের নগরীর স্কাই ভিউ বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাপা নেতা মোস্তফা বলেন, জুলাই অভুত্থানের আন্দোলন চলাকালীন ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নিহতের পর রংপুরে কোন রাজনৈতিক দল মাঠে ছিলো না। শুধু জাতীয় পার্টি মাঠে ছিলো। লাঠি সোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের পাশে ছিলো এই জাতীয় পার্টি। আবু সাঈদের প্রথম কবর জিয়ারত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান করেছেন। অথচ সেই এনসিপির কুলাঙ্গারেরা আজকে জাতীয় পার্টির বিপক্ষে লাগছে। তাই বলবো প্রশাসন ছেড়ে দাড়ান। মাঠ ফ্রি করে দেন, আমরা একটু জানান দিতে চাই রংপুরের মানুষ। এসময় রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসিকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মোস্তফা বলেন, আইন আইনের গতিতে চলবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করুন। এরমধ্যে মামলা এন্ট্রি না দিলে, থানা ঘেরাও করা হবেসহ কর্মসূচী দেওয়া হবে।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ৫৪ বছর ধরে যে বাড়িটাকে রংপুরের মানুষ মনের কোঠায় জায়গা দিয়েছে। কেউ সেই বাড়ির সামনে গিয়ে ঝামেলা করার সাহস পায় নাই। এনসিপিদের মুখোমুখি হামলা করার সাহস নেই। তারা হিজড়ার মতো পিছন থেকে অতর্কিত হামলা করে। আমরা পার্টি অফিসে ছিলাম। সাহস থাকলে পার্টি অফিসে হামলা করতা। হিজড়ার মতো কেন হামলা করলা। এই হামলায় রংপুরের মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনও হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সারাদেশের মতো রংপুরেও প্রশাসন একদম কোন কাজ করতেছে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিজিবি, পুলিশ। আপনাদের বেতন হয় মানুষের ট্যাক্সের টাকায়। সেই ট্যাক্সের টাকা খেয়ে পক্ষপাতমুলক আচরণ করছেন। আপনারা কারো দলদাশে পরিণত হইয়েন না। আপনাদের পক্ষপাতমুলক আচরণ রংপুরের মানুষ দেখছেন। তাই বলতে চাই এনসিপি যদি চায়, ডিক্লেয়ার দিয়ে আসুক। জাতীয় পার্টি সবসময় প্রস্তুত আছে। জাতীয় পার্টি কোন সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল নয়। জাতীয় পার্টি সাধারণ গণমানুষের দল। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান সেটাই শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
এর আগে জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর। এসময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগর সহ-সভাপতি মো: হাসানুজ্জামান নাজিম, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও রংপুর মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি রংপুর সদর উপজেলার আহবায়ক মাসুদ নবী মুন্না, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফ আলী, সাবেক ছাত্র নেতা ইয়াসির আরাফাত আসিফ, আরিফুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর মহানগর সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসিম, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর মহানগর আহবায়ক ফারুক মন্ডল, জাতীয় শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল ইসলাম মন্টু, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর মহানগর আহবায়ক গোলাম মোস্তফা হিরা, সদস্য সচিব ইউসুফ আহম্মেদ, শ্রমিক নেতা, শ্যামল বাবু, তসলিম উদ্দিন প্রধান, মাসুদ রানা মিলন ও এনামুল কবীর ।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্কাই ভিউ বাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।