শেরপুরে পানিতে ডুবে ও বজ্রাঘাতে জমজ দুই বোনসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে শেরপুর সদর, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পৃথকস্থানে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ছোটঝাউয়ের চর নামাপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে ডোবার পানিতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে জমজ দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হচ্ছে ওই গ্রামের রিকশাচালক মো. আব্দুস সালামের মেয়ে শিলা ও নীলা (১২)।
লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোখলেছ আলী জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে জমজ দুই বোন শিলা ও নীলাসহ চার শিশু বাড়ি পাশে ডোবাতে জমে থাকা পানিতে গোসল করতে যায়। এ সময় হঠাৎ শিলা ও নীলা পানিতে ডুবে যায়। পরে অপর দুই শিশুর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে শিলা ও নীলাকে মৃত অবস্থায় পানি থেকে উদ্ধার করেন।
এছাড়া একইদিন দুপুরে নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের বড়পাগলা গ্রামের কৃষক সমির উদ্দুন সমু (৫৮) মাঠে গরু আনতে গেলে আকস্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। একইসময়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫) মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের মধ্যে তার নাতনিকে পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আনার পথে আকস্মিক বজ্রপাত ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধা হাজেরা বেগম মারা যান। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় নাতি।
শেরপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম ,নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।