বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, অতীতে যারাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিতে চেয়েছে, তারাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কারণ জিয়াউর রহমান তার কর্ম দিয়ে এ দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। চাইলেই তার নাম মুছে দেওয়া সম্ভব নয়।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী কর্মসূচির শেষদিনে সোমবার (৩ জুন) দুপুরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমান একদিকে জীবন বাঁজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। অপরদিকে স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের নিষিদ্ধ করা গণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্যে করে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, গত সাড়ে নয় মাসে দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। দেশকে স্থিতিশীল করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমনকি তাদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কিনা, সে ধরণের আশঙ্কা জনসাধারণের মাঝে বিরাজ করছে।
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে চরআইচা এআরখান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সৈয়দ আতিকুর রহমান।
একইদিন বরিশাল সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুরূপ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাকুল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. নেছার জোমাদ্দার। শেষে প্রধান অতিথি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ সংবাদপত্র হকারদের মাঝে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে গরুর মাংস বিতরণ করেছেন। উভয় অনুষ্ঠানে বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।