আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই অভিযোগের সঙ্গে আরেকজন ব্যক্তিও জড়িত আছেন। অভিযোগের বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গলবার (৩ জুন)। প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নোটিশ পাঠানো হলেও শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত হননি বা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যাও দেননি। ফলে আদালত এখন অভিযোগ গঠনের শুনানি করে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যেতে পারে।
এই মামলার পটভূমিতে রয়েছে একটি টেলিফোন আলাপ। গাইবান্ধার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথোপকথনের সময় শেখ হাসিনা allegedly মন্তব্য করেন: “২২৫ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” এই বক্তব্য আদালতের মর্যাদার পরিপন্থী বলে মনে করে প্রসিকিউশন, এবং তার ভিত্তিতেই শেখ হাসিনা ও অপর একজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একই দিনে আরেকটি মামলার শুনানিও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় সংঘটিত ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্য—নাছিরুল ইসলাম, আরশাদ হোসেন, ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল সুজন—কে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
এই দুটি পৃথক মামলার শুনানি একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক প্রক্রিয়ার দিকে নতুন করে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে।