তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন না করার নির্দেশনায় জনমনে স্বস্তি

এফ এম কামাল হোসেন; কাপাসিয়া, গাজীপুর | প্রকাশ: ৩ জুন, ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন না করার নির্দেশনায় জনমনে স্বস্তি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর নামে গাজীপুরের কাপাসিয়ার সরকারি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন না করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সোমবার (২ জুন) দুপুরে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আফলাতুন জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন না করার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। আমরা মন্ত্রনালয়ে এ বিষয় নিয়ে আছি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন বিষয়ে আমাকে ট্যাগ করে পোস্ট দিয়েছেন, যদিও এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না। মন্ত্রণালয়ের কাজে ট্যুরে থাকায় এই বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারি নাই। আজকে শিক্ষা উপদেষ্টা আবরার ভাইয়ের সাথে এই বিষয়ে কথা বলার সুযোগ হয়। উনি স্পষ্ট বলেছেন, তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন না করার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও লিখেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের ব্যাপারে আমাদের শ্রদ্ধাও সেইরকমই।

 মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই কোনো বিপরীতধর্মী বিষয় না। যে গণতান্ত্রিক, জুলুমহীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেটা বাস্তবায়ন হয় নাই বলেই জুলাই এসেছিল এই বাংলাদেশে। ফলে যারা মুক্তিযুদ্ধ আর জুলাইকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায় তাদের উদ্দেশ্যই হলো মুক্তিযুদ্ধের আড়াল নিয়ে ১৬ বছরের অপকর্ম ঢাকা। কিন্তু সত্য হলো এই মুক্তিযুদ্ধের চাদরে ঢাকা যাবে না গুমের শিকার শত শত পরিবারের আহাজারি, বিডিআর কার্নেজ, ব্যাংক লুট, ভোট গুম, আর হাজারে হাজার সরকারি খুন।

প্রসঙ্গত, দেশের ৩৭ জেলার ৬৮টি সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন করে গত বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নামও। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’। এরপরই কলেজটির নাম বদলের বিষয়ে অনেকে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কেউ কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে